সিলেট ১৫ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ, মে ২৬, ২০২৫
জো জিতা ওহি সিকান্দার—লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সিকান্দার রাজা গত রাতে এই কথারই যেন জলজ্যান্ত উদাহরণ। ভ্রমণক্লান্তি তো ছিলই। একাধিক শহর ঘুরে লাহোরে পা রাখলেন ফাইনালে টসের ঠিক ১০ মিনিট আগে। কিন্তু পারফরম্যান্সে সেগুলোর কোনো কিছুই যে বুঝতে দেননি রাজা।
নটিংহামে গত পরশু তিন দিনে শেষ হয়েছে ইংল্যান্ড-জিম্বাবুয়ে সিরিজের একমাত্র টেস্ট। এক দিন আগে টেস্ট শেষ হওয়ায় পিএসএল ফাইনাল খেলার সুযোগ তাঁর সামনে তৈরি হলেও পাড়ি দিতে হয়েছে অনেক দূরের পথ। বার্মিংহাম-দুবাই-আবুধাবি ঘুরে গত রাতে লাহোরে পা রেখে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলেন। ভ্রমণক্লান্তি ছাপিয়ে ফাইনালের মতো ম্যাচে স্নায়ুচাপ ধরে রেখে যেভাবে জিতেছেন, সেটা রাজ্যজয়ী রাজার চেয়ে কোনো অংশে কম না। লাহোর কালান্দার্সকে ৬ উইকেটের শ্বাসরুদ্ধকর জয় এনে দেওয়ার পর এখন তাই চলছে রাজার বন্দনা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর তাঁকে কাঁধে নিয়ে মাঠ ঘুরিয়েছেন সতীর্থরা।
লাহোর কালান্দার্সকে চ্যাম্পিয়ন করার পর রাজা তাঁর ইংল্যান্ড থেকে পাকিস্তান সফরের দীর্ঘযাত্রার বর্ণা দিয়েছেন। জিম্বাবুয়ের অলরাউন্ডার বলেন, ‘টেস্টে গত পরশু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৫ ওভার বোলিং করেছি। ২০ ওভার গতকাল ব্যাটিং করেছি। বার্মিংহামে ডিনার করেছি। দুবাইয়ে করেছি সকালের নাশতা। সেখান থেকে লাঞ্চ করতে গেলাম আবুধাবি। তারপর বিমান ধরে পাকিস্তানে পৌঁছে ডিনার সারলাম। আমার মতে পেশাদার ক্রিকেটারদের জীবন তো এমনই হয়। সত্যিই আমি অনেক সম্মানিত। এমন জীবন পেয়ে ভালোই লাগছে।’
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে গত রাতে যাঁরা পিএসএল ফাইনাল দেখেছেন, তাঁরা নিশ্চয়ই লাহোর কালান্দার্স-কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স ম্যাচের রোমাঞ্চ অনুভব করতে পেরেছেন। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে কোয়েটা ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ২০১ রান করেছে। হাতে ৬ উইকেট নিয়ে শেষ তিন বলে লাহোরের দরকার ছিল ৮ রান। এমন অবস্থায় ২০তম ওভারের চতুর্থ বলে ফাহিম আশরাফকে ছক্কা মেরে শিরোপাটা নিয়ে আসেন লাহোরের হাতের মুঠোয়। আর পঞ্চম বলে চার মেরে লাহোর কালান্দার্সকে এনে দিলেন তৃতীয় পিএসএল শিরোপা।
লাহোরকে গত রাতে চ্যাম্পিয়ন করার পথে ৭ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় ২২ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন রাজা। চাপ সামলে জিম্বাবুয়ের অলরাউন্ডার যে ইনিংস খেলেছেন, তাতে মুগ্ধ লাহোর কালান্দার্স অধিনায়ক শাহিন শাহ আফ্রিদি। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আফ্রিদি বলেন, ‘কুশল দারুণ একটা ইনিংস খেলেছে। আমার মতে রাজাকে অনেক কৃতিত্ব দিতে হবে। গতকাল (পরশু) সে ম্যাচ খেলেছে। তার পরিবারকে কৃতিত্ব দিতে হবে।তাকে বলেছিলাম যে তুমি এখানে এক উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছ। সেটাই আমাদের শিরোপা জিততে সাহায্য করেছে।’
৩১ বলে ৬২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন কুশল পেরেরা। ৫ চার ও ৪ ছক্কা মেরেছেন। পঞ্চম উইকেটে রাজার সঙ্গে ১৯ বলে ৫৯ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়তে অবদান রেখেছেন। সেটার চেয়েও বড় কথা, চাপের মুহূর্তে যেভাবে হিসেব-নিকেশ করে রাজা-পেরেরা এগিয়েছেন, সেটা অবিশ্বাস্য। শেষ ৮ বলে ২৩ রানের সমীকরণ যখন লাহোর কালান্দার্সের সামনে, তখন মোহাম্মদ আমিরকে চার ও ছক্কা মেরে পেরেরা সমীকরণ তুলনামূলক সহজ করে নিয়ে আসেন। এরপর তুলির শেষ আঁচড় তো রাজাই দিয়েছেন। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পেরেরা বলেছেন, ‘সে সময় আমাদের ঝুঁকি নিতে হতো ও সেটা কাজে দিয়েছে। আমি ও রাজা হিসেব করে এগিয়েছি। পরিস্থিতি যাচাই করেছি। রাজা অনেক বড় অবদান রেখেছে।’
প্রধান উপদেষ্টা: বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক,
উপদেষ্টা : খান সেলিম রহমান, জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকা, ঢাকা ।
উপদেষ্টা : মোহাম্মদ হানিফ,
প্রকাশক : মোঃ ফয়ছল কাদির,
সম্পাদক : মাছুম কাদির,
সিলেট অফিস : রংমহল টাওয়ার(৪র্থ তলা) বন্দরবাজার সিলেট,৩১০০। মোবাইল নং-০১৭১৮৬২০২৯১,
ই-মেইল : Foysolkadir503@gmail.com,
Design and developed by DHAKA-HOST-BD