
গত দুই দশকে দেশে সরকারি ও বেসরকারি মিলে ৭০টির বেশি নতুন মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু এসব কলেজের বড় অংশই শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মান বজায় রাখতে ব্যর্থ। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাবিদ ও বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিলেন।
এ প্রেক্ষাপটে সরকার মেডিকেল কলেজগুলোর মান যাচাইয়ের জন্য নতুন ম্যাট্রিকসভিত্তিক মূল্যায়ন কার্যক্রম চালু করেছে। চলতি মাসেই ফল প্রকাশ করা হবে। প্রাথমিকভাবে প্রায় ২০টি কলেজের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত
শ্রেণিকক্ষ ও নিজস্ব ক্যাম্পাস
হাসপাতালের অবকাঠামো ও শয্যাসংখ্যা
রোগী ভর্তির হার
গবেষণা কার্যক্রম
আর্থিক ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা
প্রতিটি শর্তের জন্য নির্দিষ্ট নম্বর দেওয়া হবে। মোট স্কোর দেখে সিদ্ধান্ত হবে কোন কলেজ কতটা মানসম্পন্ন। স্কোর কম হলে ভর্তি কমানো, নতুন ভর্তি বন্ধ কিংবা কলেজ বন্ধও করা হতে পারে।
দেশে এখন মোট মেডিকেল কলেজ: ১০৪টি
সরকারি: ৩৭টি
বেসরকারি: ৬৭টি
সরকারি ডেন্টাল কলেজ: ১টি
বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ: ১২টি
অভিযোগ রয়েছে, দেশের দুই-তৃতীয়াংশ বেসরকারি মেডিকেল কলেজ শর্ত পূরণে ব্যর্থ। কিছু সরকারি কলেজেও তীব্র শিক্ষকসংকট রয়েছে—অনুমোদিত পদে প্রায় ৪৩% শূন্য। নতুন প্রতিষ্ঠিত ৬টি সরকারি কলেজ স্থায়ী ক্যাম্পাস ছাড়াই ভাড়া ভবন বা সদর হাসপাতালে চলছে।
শুধু সতর্কবার্তা নয়, ত্রুটিপূর্ণ কলেজের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে তুলনা করে একটি গ্রহণযোগ্য মানমাত্রা তৈরি করতে হবে।
চিকিৎসা শিক্ষা শুধু ডিগ্রি শেষ করার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, চিকিৎসকদের জন্য ধারাবাহিক প্রশিক্ষণ ও হালনাগাদ জ্ঞান অপরিহার্য।
কম নম্বর পাওয়া কলেজে ভর্তি কমানো বা নতুন ভর্তি বন্ধ হতে পারে।
প্রয়োজনে কিছু কলেজ বন্ধও করা হবে।
স্বচ্ছতার জন্য ম্যাট্রিকসের ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
সরকারি ও বেসরকারি কলেজের অভিন্ন শর্ত মূল্যায়নে বিবেচনায় আসবে।