সিলেট ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:৫৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১০, ২০২৪
ধর্ষণ নয় : রাজ্যের আইন অমান্যে সিলেটেরআওয়ামী লীগ নেতারা ভারতীয় আইনের গ্যাড়াকলে
এমদাদুর রহমান চৌধুরী জিয়া :: ভারতের কলকাতা থেকে সিলেটের আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে মেঘালয় রাজ্যের ডাউকি থানার পুলিশ। গত রোববার ভোরে কলকাতার নিউ টাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে পশ্চিম জৈন্তা হিল জেলার একজন ট্রাকচালককে মারধরের অভিযোগে গত মাসে ডাউকি থানায় মামলা হয়েছিল।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান (মুক্তি), সহসভাপতি আবদুল লতিফ (রিপন) ও সদস্য ইলিয়াস হোসেন (জুয়েল)।
চার নেতাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি গতকাল সোমবার রাতেনিশ্চিত তারেক রহমানের দেশে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছে দেশের মানুষ সারা বাংলাদেশের মানুষ যারা অপেক্ষা করছেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মামলা হয় করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী (নাদেল)। ভারতে অবস্থানরত এই রাজনীতিবিদ বলেন, রোববার ভোরে মেঘালয়ের ডাউকি পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অবৈধ প্রবেশের অভিযোগে ডাউকি থানায় একজন মামলা করেছেন। এ মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মেঘালয়ের পত্রিকা দ্য শিলং টাইমসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার চারজনকে রোববার রাতে কলকাতা থেকে পশ্চিম জৈন্তা হিল জেলার প্রধান শহর জোয়াইয়ে আনা হয়। ট্রাকচালককে মারধরের অভিযোগে ডাউকি থানায় হওয়া মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মানুষকে এতটা নিচে নামাতে পারে তা ভাবতেও পারছে না সিলেটের সচেতন রাজনৈতিক মহল।
রাজনৈতিক কারণে দেশের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী নিজেকে আড়াল করতে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের অনেকেই।
অনেকে দেশের বাহিরে বিভিন্ন রকমের বক্তব্য দিচ্ছেন।
কিন্তু কিছু ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদরা দেশের চলমান প্রেক্ষাপটে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছিলেন। এ কারণেই যেকোনোভাবে পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশী দেশ ভারতে যান সিলেটের আওয়ামী লীগ নেতারা।
কিন্তু নাসির উদ্দিন সহ সিলেটের আওয়ামী লীগ নেতারা গ্রেফতারের খবর বাংলাদেশে চলে আসলে সিলেটের কিছু লোকজন মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে অপপ্রচার করে জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সহ আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে এমনটা জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
তিনি বলেন রাজনৈতিক বিরোধিতা রাজনৈতিক ভাষায় করা উচিত। অপব্যাখ্যা দিয়ে মানুষের সম্মানের হানি ঘটানো কোন ভাল মানুষের কাজ নয়।
ধর্ষণের কোন ঘটনায় সিলেটের আওয়ামী লীগ নেতাদের ভারতে আটক করা হয়নি। রাজ্যের আইন অমান্যের কারণে তাদেরকে আটক করা হয়েছে । সেখানে কেউ একজন অভিযোগ করেছেন একটা চলকে মারধরের বিষয়ে সে বিষয়ে পুলিশ তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
সিলেটের আওয়ামী লীগ নেতারা অবস্থান করতে অনুমতি নেন শিলং পুলিশের।
মেঘালয় রাজ্যের শিলং শহরে ছিল তাদের অবস্থান।
লাইমক্রা থানা পুলিশের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সেখানকার একটি বোর্ডিং কি অবস্থান করেন সিলেট জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খানসহ চারজন।
হঠাৎ করে সেখানে শীত বেড়ে যাওয়ায় পুলিশকে না বলেই স্থান পরিবর্তন করে অন্য রাজ্যে অবস্থান নেন তারা।
হয়তো এটিও যে একটি অপরাধ সেটি জানা ছিল না তাদের।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে নড়েচড়ে বসেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের সন্দেহ জাগে, অনুমতি ছাড়া তারা কি বাংলাদেশেই ফিরে এসেছে! কিন্তু না, রাজ্য পুলিশের অনুমতি ছাড়া অন্য রাজ্যে চলে যাওয়ায় দেশটির আইন অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে আটক করা হয় তাদের।
আর তারা হলেন সিলেট জেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খানসহ চারজন। যদিও দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম ধর্ষনের অভিযোগে আটক করা হয়েছে বলে সংবাদ প্রচার করছে।
কিন্তু সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে ভিন্ন কথা। তাদের দাবি ধর্ষণ নয়, রাজ্য পুলিশের অনুমতি ছাড়া অন্য রাজ্যে যাওয়ার অপরাধের কারণেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এমনটিই ইঙ্গিত দিয়েছেন মেঘালয় রাজ্যের শিলং জেলার ডাউকি থানার সেকেন্ড অফিসার…।
সোমবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়, রোববার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা থেকে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তিসহ ৪ দলীয় নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে মেঘালয় রাজ্যের শিলং পুলিশ। গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলেন- সিলেট মহানগর যুবলীগের সহ-সভাপতি রিপন ও সদস্য জুয়েল।
রোববার দুপুরের দিকে কলকাতার নিউটাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে কলকাতা পুলিশের সহায়তায় তাদেরকে আটক করে শিলং পুলিশ। এরপর রোববার রাতেই তাদেরকে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে আনা হয়েছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, শিলং পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের নেতারা সিলেট থেকে পালিয়ে শিলংয়ে অবস্থান করার সময় তাদের অবাসস্থলে একটি ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে শিলং থানায় ৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হলেও আরো দুইজন আসামী পলাতক রয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা: বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক,
উপদেষ্টা : খান সেলিম রহমান, জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকা, ঢাকা ।
উপদেষ্টা : মোহাম্মদ হানিফ,
প্রকাশক : মোঃ ফয়ছল কাদির,
সম্পাদক : মাছুম কাদির,
সিলেট অফিস : রংমহল টাওয়ার(৪র্থ তলা) বন্দরবাজার সিলেট,৩১০০। মোবাইল নং-০১৭১৮৬২০২৯১,
ই-মেইল : Foysolkadir503@gmail.com,
Design and developed by DHAKA-HOST-BD