স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জাহাঙ্গীর আলম,সুনামগঞ্জ লক্ষ্মণশ্রী ইউনিয়নের দেখার হাওরে কৃষকদের সাথে নিয়ে ধান কাটলেন । এসময় তিনি দ্রুত ধান কাটতে জেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও কৃষকদের পরামর্শ দেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টায় দেখার হাওরে এসে উপদেষ্টা কাঁচি নিয়ে বোরো ধান কাটার উদ্বোধন করেন। ধান কাটা উদ্বোধন শেষে উপদেষ্টা বলেন, দেশে খাদ্য সংকট নেই। এবার ধানের উৎপাদন ভালো হয়েছে। খাদ্য যথেষ্ট পরিমাণ মজুদ আছে।
নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে তিনি বলেন, দেশে কৃষি উৎপাদন ভালো হচ্ছে। এসব কৃষকের বদৌলতে আমরা পাচ্ছি। কৃষকরা জমিতে উৎপাদন করে বলেই বাজারের নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিন্তু দেশের ৪০% কৃষক সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত। এবার আলুর ফলন ভালো হয়েছে কিন্তু কৃষক দাম পাচ্ছে না। এ জন্য ধানের ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছি। কৃষক যাতে বঞ্চিত না হয় সেদিকেই আমাদের বেশি নজর রয়েছে। কারণ কৃষক যদি একবার তার ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয় তাহলে তারা ফলনে এগিয়ে আসবে না। এমতাবস্থায় কৃষকের প্রতি বেশি খেয়াল রাখার আহবান জানান তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এবার যদি বাঁধ নিয়ে ঝামেলা হয় তবে ঐ ইঞ্জিনিয়ারেরও শঙ্কা আছে। মধ্যস্বত্বভোগীরা কম দামে ধান কিনে নিয়ে যায়। এজন্য সরকার একটা রেইট ধরে দিয়েছে। ধানের ক্রয় মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৬ টাকা। চাল ৪৯ টাকা ও গম ৩৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার সেই দামেই ধান কিনতে হবে।
মহালের বালু চুরি নিয়ে তিনি বলেন, কোনোভাবেই বালু চরি করা যাবে না। জড়িতদের ধরতে হবে। ডিসি এসপি এটি দেখবেন। দুজনের সমন্বয় রয়েছে। তারা ঠিকমত দায়িত্ব পালন না করলে আগের এসপির মত তাদেরও প্রত্যাহার করা হবে।
উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার খান মোহাম্মদ রেজা-উন-নবী, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ মুশফেকুর রহমান, জেলা প্রশাসক ড. ইলিয়াস মিয়া, পুলিশ সুপার তোফায়েল আহম্মেদ, সিলেট অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সমর কুমার পাল, সুনামগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম প্রমুখ।