নগরীর সৈইদানিবাগ এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে এক নারীকে মারধরের অভিযোগ

প্রকাশিত: ৭:১৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৯, ২০২৪

নগরীর সৈইদানিবাগ এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে এক নারীকে মারধরের অভিযোগ

নগরীর সৈইদানিবাগ এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে এক নারীকে মারধরের অভিযোগ

সিলেট নগরীর সৈইদানিবাগ এলাকায় একটি কলনীতে পূর্ব শত্রুতার জেরে সিমা বেগম(২৪) নামে এক নারীকে মারধর করে টাকা স্বর্ণ লংকার ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বিগত ১৫.৪.২০২৪ তারিখ রাত সাড়ে সাতটার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে সৈইদানিবাগ এলাকার সুহিন মিয়ার কলনী প্রাঙ্গণে।

এ ঘটনায় সিমা বেগমের মা খোরশেদা বেগম প্রতিপক্ষ ময়না বেগম,স্বামী-হৃদয়। সীমা বেগম,স্বামী জাহিদুল ইসলাম।
রঞ্জু মিয়া,হৃদয়,রাজু,সজিব মিয়া। হুসনা বেগম,স্বামী- ডিপজল মিয়ার বিরুদ্ধে শাহপরান(রহঃ) থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

খোরশেদা বেগমের অভিযোগ সুত্রে জানা যায়. বিগত ১৫/০৪/২০২৪ ইং তারিখ আনুমানিক সন্ধ্যা সাতটার সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার মেয়ে সীমা বেগম (২৪) কে ঘটনারস্থল সৈইদানীবাগ সুহিন মিয়ার কলোনী প্রাঙ্গণে,জনতাবদ্ধে মিলিত হইয়া অনাধিকারে সুহিন মিয়ার কলোনী প্রাঙ্গণে প্রবেশ করিয়া,আমার মেয়েকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে উপর্যুপরি আঘাত করিয়া মারাত্মক বেদনাদায়ক ফুলা জখম করে এবং তারা আমার মেয়ের চুলের মুঠিতে ধরে টানা হেছড়া করিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে ফাঁকা দেওয়ালের সাথে ধাক্কা মেরে মাথায় প্রচন্ড ব্যাথা শর্য্যা হয়।

আমার মেয়ে গলায় চেপে ধরে শ্বাসরোধ করিলে আমার মেয়ে তাহার জীবন রক্ষা করিতে জোরাজুড়ি করে প্রাণ রক্ষা করে।

আমার মেয়ে গলায় থাকা স্বর্ণের ৪ আনা ওজনের চেইন যাহার মূল্য-২৩,০০০/- (তেইশ হাজার) টাকা জোরপূর্বক কেড়ে নেয়।আমার মেয়ের তলপেটে লাথি মেরে মারাত্মক ফুলা জখম করে এবং আমার মেয়ে রক্তবমি করিতে থাকে।

এবং কি আমার মেয়ের কাপড়চোপর ছিড়িয়া শ্রীলতাহানী করে বাঁশের ছেলি দিয়া আঘাত করার সময় তাহার হাতে থাকা ওয়াচ যাহার মূল্য- ১৫২০/- (এক হাজার পাঁচশত) টাকা ভেঙ্গে ক্ষতিসাধন করে ওয়াচ টি পুকুরে ফেলে দেয় এবং আমার মেয়ের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে শক্তিশালী গোষ্ঠী দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

পরবর্তীতে আমরা সাক্ষীগণের মাধ্যমে সংবাদ পাইয়া সুহিন মিয়া কলোনীতে আসিয়া সাক্ষীগণ সহ আশপাশের লোকজনের সহায়তায় আমার মেয়ে ভিকটিম সীমা বেগম (২৪) কে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওয়ার্ড নং-২৬,বেড নং- এক্স ২, আর- ৭৩৪৫ এফএনএস বিভাগে ভর্তি প্রদান করেন।

পরবর্তীতে কিছুটা সুস্থ হইলে হাসপাতাল থেকে বাসায় আসিয়া বিশ্রাম নিলেও ২১/০৪/২০১৪ ইং তারিখ হতে আমার মেয়ের অবস্থা বেগতিক হওয়ায় পুনরায় হাসপাতালে যাই ওয়ার্ড নং ৩৮, ইউনিট-আইভি,বেড-এক্স ৭, রেজি নং- ৮৪০০ মূলে ভর্তি করিয়া চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়া বাসায় আসিয়া, বিষয়টি মিমাংসা প্রস্তাব রাখিলেও তাহারা বিষয়টি বিচার সালিশ করিতে অনিহা প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে জানতে উপশহর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এস আই মিজানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটেদেন।বিজ্ঞপ্তি

তবে এব্যাপারে শাহপরাণ (রহ.) থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী উক্ত বিষয়টি দেখতেছেন বলে জানিয়েছেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ নিউজ