১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

নদী ভাঙন আতঙ্কে চার ইউনিয়নের হাজারো মানুষ

admin
প্রকাশিত ২০ জুলাই, রবিবার, ২০২৫ ১৫:০০:২৫
নদী ভাঙন আতঙ্কে চার ইউনিয়নের হাজারো মানুষ

Manual5 Ad Code
ভারী বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে নদীর পানি বাড়তে থাকায় কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার চারটি ইউনিয়নে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।
ভাঙনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে বাহিরচর ইউনিয়নের ১২ মাইল, টিকটিকিপাড়া, মসলেমপুর ও মুন্সিপাড়া। এ চার গ্রামের প্রায় ৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
নদীতে ইতোমধ্যে শত শত বিঘা ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে কুষ্টিয়া-পাবনা মহাসড়কও।
ভাঙনস্থল থেকে পদ্মা রক্ষা বেড়িবাঁধের দূরত্ব মাত্র ৪০ মিটার হওয়ায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আলাউদ্দিন জানান, গত দুই সপ্তাহ ধরে পদ্মার পানি বাড়তে থাকায় একের পর এক কৃষিজমি নদীতে বিলীন হচ্ছে।
তিনি বলেন, “এই ভাঙনে আমাদের শত শত বিঘা জমি চোখের সামনে চলে গেছে। কীভাবে চলব, বুঝতে পারছি না।”
জুনিয়াদহ, বাহাদুরপুর, মোকারিমপুর ও বাহিরচর—এই চার ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষ এখন ভাঙনের আতঙ্কে দিন পার করছে। চরের বেশ কিছু আবাদি জমিও প্লাবিত হয়েছে।
যদিও হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মার পানি এখনো বিপদসীমার নিচে রয়েছে, তবে প্রবল ভাঙনের কারণে বন্যার আশঙ্কা করছেন অনেকে।
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, “ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছি। এলাকাবাসীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডে পাঠানো হয়েছে। তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।”
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুর রহমান বলেন, “তালবাড়িয়া থেকে নয় কিলোমিটার ভাঙনরোধে ১,৪৭২ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন। পাশাপাশি রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের কারণে বাহিরচর ইউনিয়নের কিছু এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে, বরাদ্দ পেলেই দ্রুত কাজ শুরু হবে।”
এদিকে, টানা বর্ষণে জেলার অন্যান্য নদ-নদীর পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত পদ্মাসহ সকল নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।