
নিজস্ব প্রতিবেদক
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন,
“যাঁরা পিআর পদ্ধতির বিরোধিতা করছেন, আমরা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে চাই—সাহস থাকলে আজই গণভোটের মুখোমুখি হোন। দেখা যাবে, জনগণ আপনাদের পক্ষে নয়; পিআরের পক্ষে। তাই নভেম্বরের মধ্যেই গণভোটের ব্যবস্থা করে প্রমাণ করতে হবে—দেশের মানুষ পিআরের পক্ষেই আছে।”
আজ সোমবার রাজধানীর মহাখালীতে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াত আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। সভায় জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও নভেম্বরের মধ্যে গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
সমাবেশ শেষে মহাখালী কলেরা হাসপাতালের সামনে থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি মগবাজারে গিয়ে শেষ হয়। যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা একযোগে এই কর্মসূচি পালন করে।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আরও বলেন,
“দেশের মানুষ ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্যাতনে অতিষ্ঠ। আল্লাহ তাদের বিদেশে পালাতে বাধ্য করেছেন। এখন আবার আগুন-সন্ত্রাসের মাধ্যমে ক্ষমতায় ফেরার চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশের তৌহিদি জনতা জালেমকে বিতাড়িত করেছে—তাদের ফিরে আসার কোনো সুযোগ নেই।”
🔹 ঢাকা দক্ষিণের কর্মসূচি
রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটকে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াত।
সমাবেশ শেষে মিছিলটি পল্টন হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত যায়।
এতে দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বলেন,
“অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন—সব গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্রের সংস্কার এবং অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করবেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। সরকার একদলীয় আনুগত্যে ব্যস্ত।”
তিনি আরও বলেন,
“জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটের সুযোগ নেই। তাই নভেম্বরের মধ্যে গণভোট সম্পন্ন করে ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন করতে হবে।”
🔹 ইসলামী আন্দোলনের অবস্থান
একই দাবিতে বায়তুল মোকাররমের পূর্ব পাশে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
সেখানে দলের মহাসচিব ইউনুস আহমাদ বলেন,
“পুরোনো বন্দোবস্তের নির্বাচন করে দেশকে আগের সংকটে ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে জনতা তা প্রতিহত করবে। জুলাইয়ের রক্ত ও আত্মত্যাগের পর কোনো অবস্থায়ই ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার সুযোগ দেওয়া হবে না।”
🔸 পরবর্তী কর্মসূচি
যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া দলগুলো জানিয়েছে,
আগামী ২৫ অক্টোবর সব বিভাগীয় শহরে, এবং ২৭ অক্টোবর সব জেলা শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।