নরসিংদীর শিবপুরে নিখোঁজের ২৪ দিন পর আবদুল্লাহ নামের এক মাদ্রাসাছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে শিবপুর উপজেলার বড়ইতলা এলাকায় থার্মেক্স গ্রুপের আদুরী গার্মেন্টসের ইটিপি প্ল্যান্টের ময়লার ড্রেন থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত আবদুল্লাহ নরসিংদীর পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের সেকান্দরদী গ্রামের মুক্তার হোসেনের ছেলে। তিনি সেকান্দরদী মধ্যপাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ২২ নভেম্বর মাদ্রাসা থেকে বাড়ির উদ্দেশে বের হওয়ার পর তিনি আর ফিরেননি। পরিবারের খোঁজাখুঁজি ব্যর্থ হওয়ায় পলাশ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
আজ সকালে আদুরী গার্মেন্টস এলাকার একটি ড্রেন থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকলে স্থানীয়রা পুলিশকে জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুপুরে ইটিপি প্ল্যান্টের ময়লার ড্রেন থেকে আবদুল্লাহর লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। নিহতের স্বজনরা হাসপাতালে এসে লাশের পরিচয় শনাক্ত করেন।
আবদুল্লাহর চাচাতো ভাই শাহাদাত হোসেন জানান, “আদুরী গার্মেন্টসের গেটের বাইরে একটি ড্রেন রয়েছে, ভেতরের ড্রেন ছাড়া আর কোনো রাস্তা নেই। যারা আমার ভাইকে হত্যা করেছে, তারা হয় গেটের বাইরে থেকে, নয়তো কোম্পানির ভেতর থেকেই লাশ ড্রেনে ফেলে দিয়েছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
নিহতের বাবা মুক্তার হোসেন বলেন, “আমার ছেলে ২৭ পারা কোরআন মুখস্থ করেছে। আগামী ১৯ ডিসেম্বর হাফেজি সম্পন্ন করে পাগড়ি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কে বা কারা পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে ড্রেনে ফেলে দিয়েছে। আমি তার হত্যাকারীদের বিচারের দাবি জানাই।”
শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কোহিনুর মিয়া জানান, পুলিশ মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ করছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।