নিঃসন্তান দুঃখের অবসান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারসাজিতে এল সুখবর!

প্রকাশিত: ৪:২৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ৫, ২০২৫

নিঃসন্তান দুঃখের অবসান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারসাজিতে এল সুখবর!

১৮ বছরের নিঃসন্তান দুঃখের অবসান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারসাজিতে এল সুখবর! প্রায় দুই দশক ধরে সন্তান লাভের চেষ্টা করেছিলেন এক দম্পতি। বহু চিকিৎসা, প্রাকৃতিক উপায় ও আইভিএফ-এর মতো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেও মিলছিল না সফলতা। চিকিৎসকেরা শেষমেশ জানিয়ে দেন, স্বাভাবিকভাবে কিংবা আইভিএফের মাধ্যমেও তাঁদের সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। কারণ, দম্পতির উভয়েরই বন্ধ্যাত্ব ছিল— পুরুষ সঙ্গীর শুক্রাণুর সংখ্যা এতটাই কম ছিল যে তা নিষিক্ত করার জন্য কার্যকর ছিল না।

 

 

 

 

 

তবু শেষ পর্যন্ত আশার আলো দেখা গেল। চিকিৎসা বিজ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। আর সেই প্রযুক্তির সহায়তায়ই দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটল— জন্ম নিল তাদের প্রথম সন্তান।

 

 

 

 

কীভাবে সাহায্য করল এআই? বর্তমান চিকিৎসাবিজ্ঞানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। রোগ শনাক্তকরণ, ওষুধ তৈরির পাশাপাশি জটিল অস্ত্রোপচারেও ব্যবহৃত হচ্ছে এআই প্রযুক্তি। এবার এই প্রযুক্তি কাজে লাগানো হলো সন্তান ধারণে সহায়তা করার জন্য।

 

 

 

 

দম্পতির ক্ষেত্রে সমস্যা ছিল পুরুষ সঙ্গীর শুক্রাণুতে। তিনি অ্যাজোস্পার্মিয়ায় ভুগছিলেন, যার ফলে তাঁর শুক্রাশয়ে কার্যকর শুক্রাণুর সংখ্যা ছিল অত্যন্ত কম। সাধারণ পরীক্ষায় এমন কার্যকর শুক্রাণু শনাক্ত করা সম্ভব হয় না।

কিন্তু কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন একটি এআই-চালিত প্রযুক্তি, যার নাম ‘STAR’। এই প্রযুক্তি লক্ষ লক্ষ শুক্রাণুর মধ্যে সবচেয়ে গুণগত মানসম্পন্ন কিছু শুক্রাণুকে খুঁজে বের করতে পারে। ওই দম্পতির ক্ষেত্রে, এআই তিনটি কার্যকর শুক্রাণু শনাক্ত করে। এই শুক্রাণুগুলোর মাধ্যমেই সফল হয় নিষেক প্রক্রিয়া।

 

 

 

 

এরপর সেই নিষিক্ত ভ্রূণ মায়ের গর্ভে প্রতিস্থাপন করা হয়। নির্ধারিত সময় পরে জন্ম নেয় সুস্থ সন্তান। এক সময় যাদের সন্তান জন্মদানের সব আশা শেষ হয়ে গিয়েছিল, তারা আজ গর্বিত বাবা-মা।

 

 

 

নতুন দিগন্ত খুলছে এআই- এই ঘটনা দেখিয়ে দেয়, আধুনিক প্রযুক্তি— বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা— কতটা কার্যকর হতে পারে চিকিৎসার জগতে। ভবিষ্যতে এআই হয়তো আরও বহু জটিল চিকিৎসার পথ সুগম করে তুলবে, বিশেষত যারা দীর্ঘদিন ধরে সন্তান ধারণে ব্যর্থ হয়েছেন, তাদের জন্য এই প্রযুক্তি হয়ে উঠতে পারে আশার নতুন আলো।

সর্বশেষ নিউজ