নির্যাতিত কিশোরের দুই চোখ ও চুরির মামলায় ফাঁসানোর মুল্য আড়াইল লক্ষ টাকা

প্রকাশিত: ১২:০৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ২১, ২০২৫

নির্যাতিত কিশোরের দুই চোখ ও চুরির মামলায় ফাঁসানোর মুল্য আড়াইল লক্ষ টাকা

ছাতক প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের ছাতকে এক কিশোর কে অমানবিক নির্যাতন করে দুটি চোখ নষ্ট করে দেওয়া ও চুরির মামলায় ফাঁসানোর ঘটনা মাত্র আড়াই লক্ষ টাকায় ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশে কিশোরের চিকিৎসা সহ নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হওয়ার পরই বিষয়টি অর্ধের বিনিময়ে ধামাচাপা পড়েছে। নিজেরা ফেসে যাওয়ার ভয়ে অর্ধলোভী কিশোরের পিতাকে মাত্র আড়াই লক্ষ টাকা দিলেও মধ্যস্তকারীদের বিরুদ্ধে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উটেছে। যে কারণে ন্যায় বিচার ব্যাহত হবার আশংকা করছেন স্থানীয়রা।

 

 

 

 

 

জানা যায়,সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার আকিলপুর গ্রামের সব্জি ব্যবসায়ী রমিজ আলীর ছাতক বাজারের সব্জির দোকানে কাজ করত ছাতক উপজেলার কালারুখা ইউনিয়নের হাসনাবাদ গ্রামের আব্দুল হামিদ ওরফে সুহেল মিয়ার পুত্র ১৩ বছর বয়সি কিশোর কামিল আলী। সব্জি ব্যবসার আড়ালে রমিজ আলী ও তার ছেলেরা কর্মচারী কামিলের অজান্তে মাদক ব্যবসার মালামাল পরিবহন করত। একদিন মাদকের কার্টূন তার মাথা থেকে পড়ে গেলে বিষয়টি কাউকা না জানানোর জন্য কামিল কে টাকার লোভ দেখায় রমিজ আলী। তারপরও কামিল বিষয়টি তার পরিবারকে জানিয়ে চাকুরী ছেড়ে দেয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কিন্তু রমিজ আলী তাকে চাকুরীতে যাওয়ার জন্য চাপপ্রয়োগ করে। এক পর্যায়ে রমিজ আলী ঐ কিশোরের লোভী বাবা আব্দুল হামিদ ওরফে সোহেল কে টাকার লোভ দেখিয়ে দোকানে ফিরিয়ে নেয়। কিন্তু কিশোর কামিল মাদক ব্যবসার বিষয়টি বিভিন্ন জায়গায় বলে ফেলে। এতে গত ৩০ জুন সকালে রমিজ আলী ও তার ছেলেরা উত্তেজিত হয়ে কিশোর কামিল আলীকে চোর সাবস্ত করে দিনবর শারিরীক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে একটি বিল্ডিং এর তৃতীয় তলা থেকে নীচে কাদায় ফেলে দেয়। এতে কিশোরটি গুরুতর আহত হয়। ঘটনার রহস্য আড়াল করে রমিজ আলী তার ছেলে মোস্তাকীম কে বাদী বানিয়ে ওই কিশোরের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় কল্পপনিক চুরির মামলা নং ০১ (জিআর ১৮৯/২৫) ধারা ৩৮০ দায়ের করেন। এতে ১৩ বছরের কিশোর কামিল কে ২০ বছর বয়স দেখিয়ে মামলা এফআইআর করে পুলিশ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ নিউজ