নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই সিলেট নগরীতে প্রবেশ করছে পণ্যবাহী ট্রাক

প্রকাশিত: ১১:১৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ৮, ২০২৪

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই সিলেট নগরীতে প্রবেশ করছে পণ্যবাহী ট্রাক

 

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই সিলেট নগরীতে প্রবেশ করছে পণ্যবাহী ট্রাক

 

সিলেট নগরীর যানঝট আর দূর্ঘটনা রোধে এসএমপি পুলিশের পক্ষ থেকে সকাল ৮ থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত সিলেট নগরীতে মালবাহি ট্রাক-কাভার্ডভ্যান প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাজারি করা হয়। সেই আইন মানছে না ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চালকরা। নগরীর হুমায়ূন রশিদ চত্বর থেকে শাহজালাল নতুন ব্রিজ দিয়ে অনাসেই যে কোন সময় প্রবেশ করছে ট্রাকগুলো। ফলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে দূর্ঘটরা আর যাজঝট।

অপর দিকে যানজট নিরসন ও সড়কের ক্ষতি কমাতে সিলেট নগরে ট্রাক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিলেও তা মানছেন না এ বাহনের চালকরা। তারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই নগরে প্রবেশ করছেন পণ্যবাহী ট্রাক।

যতদুর জানা যায়, হুমায়ূন রশিদ চত্বরে রয়েছে একটি একটি পুলিশ ট্রাফিক বক্স সেখানে বিভিন্ন সময় দায়িত্ব পালন করেন বিভিন্ন সার্জেট বা টিআই আর তাদের ম্যানেজ করেই শাহজালাল নতুন ব্রিজ দিয়ে অনাসেই প্রবেশ করে ট্রাক।

আজ সোমবার সন্ধ্যার পর দক্ষিণ সুরমা হুমায়ুন চত্বর ট্রাফিক বক্সের সামনে আসা পণ্যবাহী একটি ট্রাকে থামান এক ট্রাফিক পুলিশ। কিছু সময় পর ঐ ট্রাকটি ছেড়ে দেন তিনি! ট্রাকটি ব্রীজ পার হয়ে ব্রিজের উত্তর পার্শ্বে মেন্দিবাগের রাস্তা দিয়ে ভিতরে চলে যায়। রাত ৮ টার দিকে আরেকটি পণ্যবাহী ট্রাক শহরে প্রবেশ করে উপশহর পয়েন্টে আসে, এ সময় পয়েন্টে ট্রাফিকের দ্বায়িত্বে থাক সার্জেন্ট সুজন এর নজরে বিষয়টি আসে। তিনি ট্রাকটি আটক করে শেষ পর্যন্ত আবার দক্ষিণ সুরমার দিকে রির্টান পাঠিয়ে দেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়,চত্বরে থাকা ট্রাফিক পুলিশকে ম্যানেজ করেই ট্রাক ব্রিজ পার হয়ে ওপারে চলে আসে।

রাতের সিলেটে আতঙ্ক ‘ট্রাক’। ফাঁকা সড়ক পেয়ে পণ্যবাহী ট্রাক এসে ঢুকছে সিলেটে। বিশেষ করে পাথর, কয়লা ও বালুবাহী ট্রাক ঢুকছে। এতে করে দেখা দিয়েছে বিপত্তি। মধ্যরাতে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে যানজট দেখা দিচ্ছে। আবার কোথাও ট্রাক দেবে যাচ্ছে রাস্তায়। এ নিয়ে বিরক্ত হয়ে উঠেছেন ওই এলাকার মানুষ। সিলেট সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নির্ধারিত সড়ক ছাড়া অন্য কোনো সড়কে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করতে নিষেধ করে দেয়া হয়েছে। পাথর, কয়লা ও বালুর অন্যতম বাজার সিলেট। প্রতিদিন এসব পণ্য নিয়ে শ’-শ’ ট্রাক সিলেটের জাফলং, ভোলাগঞ্জ ও ছাতক থেকে বিভিন্ন জায়গায় চলে যায়। এজন্য নগরীতে দু’টি বাইপাস সড়ক বরাদ্দ রয়েছে। নগরের পাস দিয়ে এসব বাইপাস রুট দিয়ে ট্রাক চলাচলের নির্দেশনা রয়েছে। তবে- সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েন ভোলাগঞ্জের ট্রাকচালকরা। বিকল্প কোনো সড়ক না থাকায় তারা আম্বরখানা পয়েন্ট ছুঁয়েই বাইপাস রুটে যেতে হচ্ছে।

বিমানবন্দর এলাকা থেকে ডানে কিংবা বামে ট্রাক চলাচলের জন্য কোনা বাইপাস নির্মাণ করা হয়নি। এ কারণে সন্ধ্যা নামলেই আম্বরখানা-বিমানবন্দর সড়কে যানজট নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিলেটের কেন্দ্রীয় ট্রাক টার্মিনালের ইজারাদাররা দাবি করেছেন, সিলেট নগরীর যানজট কমাতে নগরের বাইরে পারাইরচক এলাকায় অত্যাধুনিক ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ চালকেরা এখন আর ওই ট্রাক টার্মিনাল ব্যবহার করেন না। তারা নগরীর বিভিন্ন প্রবেশ মুখে ট্রাক দাঁড় করিয়ে অবৈধ স্ট্যান্ড গড়ে তুলেছেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ নিউজ