
কাঠমান্ডুতে গত দুই দিন ধরে মৃত্যু, ধ্বংসযজ্ঞ ও অগ্নিসংযোগের ভয়াবহ ছবি ছড়িয়ে পড়ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। দেশজুড়ে আন্দোলনের চাপের মুখে কেপি শর্মা অলি সরকার পদত্যাগ করেছেন। হিমালয়ের পাদদেশের দেশটিতে শান্তি ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব নিয়েছে নেপালের সেনাবাহিনী।
দেশজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মবের নামে ভাঙচুর, লুঠপাট বা হামলার ঘটনা ঘটলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেল আন্দোলনকারীদের সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন।
জেনারেল সিগদেল গত মঙ্গলবার রাতে জাতির উদ্দেশে টেলিভিশন ভাষণে বলেন,
“আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, আন্দোলনরত পক্ষরা কর্মসূচি বন্ধ করে আলোচনায় বসুক। দেশের ঐতিহাসিক ও জাতীয় সম্পদ রক্ষা করতে হবে এবং সাধারণ মানুষ ও কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।”
আন্দোলন পুলিশের গুলিতে ১৯ জন নিহত হওয়ার পর আরও বিস্তৃত হয়।
‘জেন জেড’ নামে পরিচিত আন্দোলনকারীরা রাজনৈতিক নেতাদের বিলাসী জীবন ও সাধারণ মানুষের জীবনমানের ফারাক তুলে ধরেছে।
একাংশের বিক্ষোভকারী সরকারি ভবন ও রাজনীতিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে।
প্রথমে পদত্যাগে অস্বীকৃতি জানালেও গতকাল কেপি শর্মা অলি পদত্যাগ করেন।
আজ বুধবার আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পাউদেল বৈঠক করবেন।
প্রেসিডেন্ট বলেছেন,
“সব পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাই। দেশকে আরও ক্ষতির মুখে ঠেলে দেবেন না। আলোচনার মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে সমাধান করা সম্ভব।”
বিমানবন্দর, সচিবালয় ও সিংহদরবারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণে।
সীমান্ত বন্ধ। কেবল জরুরি সেবা (অ্যাম্বুলেন্স ও মরদেহবাহী গাড়ি) চলাচল করছে।
সেনাবাহিনী বলেছে,
“প্রতিবাদের নামে যে কোনো ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ এবং হামলা দণ্ডনীয় অপরাধ। নিরাপত্তা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেবে।”
নাগরিক ও সাংবাদিকদের কেবল সরকারি তথ্য বিশ্বাস ও প্রচার করার আহ্বান জানানো হয়েছে।