পরাজিত শক্তির ইন্ধন ও বিদেশি ষড়যন্ত্র, সকল কারণ জনসমক্ষে তুলে ধরা হবে

প্রকাশিত: ৮:১৬ অপরাহ্ণ, মে ২৪, ২০২৫

পরাজিত শক্তির ইন্ধন ও বিদেশি ষড়যন্ত্র, সকল কারণ জনসমক্ষে তুলে ধরা হবে

‘পরাজিত শক্তির ইন্ধনে এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের’ অংশ হিসেবে ‘আরোপিত’ দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তোলা হচ্ছে বলে মনে করছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জনের পর উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে অনির্ধারিত বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে এই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছে উপদেষ্টা পরিষদ। একইসঙ্গে এই পরিস্থিতি সৃষ্টির পেছনে ‘সকল কারণ’ জনসমক্ষে তুলে ধরা হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।

আজ শনিবার রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগর এলাকায় পরিকল্পনা কমিশনে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভা শেষে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে সরকারের অবস্থান তুলে ধরা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, বৈঠকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপর অর্পিত তিনটি প্রধান দায়িত্ব (নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার) বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এসব দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের অযৌক্তিক দাবি দাওয়া, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও এখতিয়ার বহির্ভূত বক্তব্য এবং কর্মসূচি দিয়ে যেভাবে স্বাভাবিক কাজের পরিবেশ বাধাগ্রস্ত করে তোলা হচ্ছে এবং জনমনে সংশয় ও সন্দেহ সৃষ্টি করা হচ্ছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বৈঠকে।

দেশকে স্থিতিশীল রাখতে, নির্বাচন, বিচার ও সংস্কার কাজ এগিয়ে নিতে এবং চিরতরে এদেশে স্বৈরাচারের আগমন প্রতিহত করতে বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন বলে মনে করে উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য শুনবে এবং সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করবে।

শত বাধার মাঝেও গোষ্ঠীস্বার্থকে উপেক্ষা করে অন্তর্বর্তী সরকার তার উপর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। যদি পরাজিত শক্তির ইন্ধনে এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারের উপর আরোপিত দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তোলা হয়, তবে সরকার সকল কারণ জনসমক্ষে উত্থাপন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের জনপ্রত্যাশাকে ধারণ করে। কিন্তু সরকারের স্বকীয়তা, সংস্কার উদ্যোগ, বিচার প্রক্রিয়া, সুষ্ঠু নির্বাচন ও স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কর্মকাণ্ড অর্পিত দায়িত্ব পালন করাকে অসম্ভব করে তুললে সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

সর্বশেষ নিউজ