পশ্চিমা দেশগুলোর ফিলিস্তিন স্বীকৃতির জবাবে পশ্চিম তীর দখলের পরিকল্পনা ইসরায়েলের

প্রকাশিত: ১১:১৬ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫

পশ্চিমা দেশগুলোর ফিলিস্তিন স্বীকৃতির জবাবে পশ্চিম তীর দখলের পরিকল্পনা ইসরায়েলের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফ্রান্সসহ পশ্চিমা বিশ্বের কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণার পর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে পশ্চিম তীর দখল করে দেশটির সঙ্গে সংযুক্ত করার কথা ভাবছে ইসরায়েলি নেতারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিন ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাতে রবিবার এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় দখল করা পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব সম্প্রসারণ বা কার্যত সংযুক্তিকরণের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে ছিল। তবে আলোচনার বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে

পশ্চিম তীরের কোন অংশ সংযুক্ত করা হতে পারে—সে বিষয়ে এখনো স্পষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কেবল ইসরায়েলি বসতি এলাকা, নাকি তার কিছু অংশ, অথবা নির্দিষ্ট অঞ্চল যেমন জর্ডান ভ্যালি—সে নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। এ ছাড়া সংযুক্তিকরণ কার্যকর হলেও আইনি প্রক্রিয়া দীর্ঘ হওয়ায় কবে বাস্তবে তা কার্যকর হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন আছে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

বিশ্লেষকদের মতে, পশ্চিম তীর সংযুক্তির যেকোনো পদক্ষেপ ফিলিস্তিনিদের প্রবল নিন্দা কুড়াবে। ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনিরা এই অঞ্চল দাবি করে আসছে। একইসঙ্গে আরব বিশ্ব ও পশ্চিমা বিশ্বের বিরোধিতার মুখে পড়বে ইসরায়েল।
এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহল অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বসতিকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। ২০২৪ সালে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতও দ্রুত বসতি প্রত্যাহারের রায় দেয়।

আগের পরিকল্পনা

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ২০২০ সালেও পশ্চিম তীরের ইহুদি বসতি ও জর্ডান ভ্যালি সংযুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সেই উদ্যোগ বাস্তবায়ন হয়নি।

বর্তমান প্রেক্ষাপট

এবার ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। গাজায় চলমান যুদ্ধ নিয়ে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মধ্যেই এ ঘোষণা ইসরায়েলকে আরও ক্ষুব্ধ করেছে।
তবে ইসরায়েল বলছে, পশ্চিম তীর ও অন্যান্য বিতর্কিত ভূখণ্ড ‘অধিকৃত’ নয়, বরং ‘বিতর্কিত ভূমি’। কিন্তু জাতিসংঘ ও বিশ্বের অধিকাংশ দেশ এগুলোকে স্পষ্টতই অধিকৃত এলাকা হিসেবে বিবেচনা করে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ নিউজ