২২শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৭ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২রা রজব, ১৪৪৭ হিজরি

পাহাড় সমান দুর্নীতির অভিযোগ তবুও তিনি কেমন শ্রেষ্ঠ কৃষি কর্মকর্তা

admin
প্রকাশিত ১৫ আগস্ট, মঙ্গলবার, ২০২৩ ২৩:০৫:৪৯
পাহাড় সমান দুর্নীতির অভিযোগ তবুও তিনি কেমন শ্রেষ্ঠ কৃষি কর্মকর্তা

Manual8 Ad Code

পাহাড় সমান দুর্নীতির অভিযোগ তবুও তিনি কেমন শ্রেষ্ঠ কৃষি কর্মকর্তা

Manual6 Ad Code

নিউজ ডেস্ক:- মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে নানান ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি জেলার শ্রেষ্ঠ কৃষি কর্মকর্তা নির্বাচিত হয়েছেন।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বিভিন্ন প্রকল্পের প্রদর্শনীর বরাদ্দকৃত টাকা, সার, বীজ ও অন্যান্য উপকরণ কৃষকদের মধ্যে বণ্টন না করে আত্মসাৎ করছেন।

প্রশিক্ষণ ও মাঠ প্রদর্শনীতে অনিয়ম, প্রকল্প, বরাদ্দ ও সুবিধাভোগী কৃষকদের তথ্য না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এত এত অনিয়ম ও দুর্নীতি করেও মৌলভীবাজার জেলার শ্রেষ্ঠ কৃষি কর্মকর্তা’ নির্বাচিত হয়েছেন রাজনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম।

খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে কৃষকের জীবনমান উন্নয়ন এবং গ্রামকে শহরে রূপান্তর করার জন্য নানান উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কৃষকদের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে কৃষিপণ্য পৌঁছে দিতে বড় অংকের ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার।

কৃষকদের চাষাবাদে আগ্রহ সৃষ্টির জন্য প্লট প্রদর্শনীতে বীজ, সার, ওষুধ ও নগদ অর্থও বরাদ্দ রয়েছে। কিন্তু সরকারের এসব উদ্যোগ ঠিকভাবে বাস্তবায়ন না করার অভিযোগ রয়েছে রাজনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে।

Manual1 Ad Code

একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, জেলা অফিসে নানান সুবিধা প্রদানের বিনিময়েই তিনি শ্রেষ্ঠ কৃষি কর্মকর্তা নির্বাচিত হয়েছেন। জানা যায়, চলমান প্রকল্পসমূহের মধ্যে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প ও কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পে পুকুর চুরি করেছেন ওই কর্মকর্তা। প্রকল্পে কী পরিমাণ বরাদ্দ সেটা তিনি অফিসের কাউকে অবগত করেননি।

প্রদর্শনীর বরাদ্দ তিনি একাই দেখভাল করেন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেটঅঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের কিপার প্রদর্শনীপ্রাপ্ত উত্তরভাগ ইউনিয়নের আব্দুল কালাম বলেন, ৫ জন কৃষককে একত্রে ১ বস্তা লাল সার, ৫ কেজি করে কালো সার, ২০ কেজি সাদা সার দেয়া হয়েছে। বীজ কেনার জন্য ২ হাজার ৫শ’ টাকা পেয়েছি।

কিন্তু জমি প্রস্তুত, পরিচর্যা কিংবা মাচা তৈরির জন্য কোনো টাকা পাইনি।’ টেংরা ইউনিয়নের লতি কচু প্রদর্শনীর কৃষক আছকান মিয়া বলেন, “নগদ টাকা, সার ও ওষুধ কম দেয়ায় কৃষি অফিসারের সঙ্গে ঝগড়া করেছি। তারপরও বরাদ্দ অনুযায়ী পাইনি।

পাঁচগাঁও ইউনিয়নের মরিচ প্রদর্শনীর কৃষক জয়নাল মিয়া বলেন, ‘২০ গ্রাম বীজ ও সার মিলিয়ে ১৫-২০ কেজির মতো পেয়েছি। নগদ টাকা পাইনি।

Manual7 Ad Code

কামারচাক ইউনিয়নের হলুদ প্রদর্শনীর কৃষক ওয়ারিশ মিয়া বলেন, ‘৫ মণের মতো বীজ ও বিভিন্ন ধরনের কিছু সার পেয়েছি। কিন্তু নগদ টাকা পাইনি।

রাজস্ব খাতে আমার স্ত্রীর নামে একটি প্রদর্শনী ছিল সেটা থেকে ১৫শ’ টাকা পেয়েছি।” টেংরা ইউনিয়নের চীনা বাদাম প্রদর্শনীর কৃষক কুতুব উদ্দিন বলেন, ১৫ কেজি বীজ ও ৪০ কেজি সার পেয়েছি। কিন্তু নগদ টাকা পাইনি।

উত্তরভাগ ইউনিয়নের আদা প্রদর্শনীর কৃষক সুয়ের আহমদ বলেন, ‘কিছু সার দেওয়া হয়েছিল। তবে এ মুহূর্তে পরিমাণ বলতে পারছি না। নগদ টাকা পাইনি।

কন্দাল ফসল প্রকল্পে মুখী কচু প্রদর্শনীর মনসুরনগর ইউনিয়নের তাহেরা বেগম বলেন, ১০ কেজি করে মার ও দেড় হাজার টাকা পেয়েছি। বীজ পাইনি।’ উত্তরভাগ ইউনিয়নের গাছ আলু প্রদর্শনীর কৃষক মাহমুদুল হক বলেন, ‘এক বস্তা বীজ, সার ৩০ কেজি ও ২ হাজার টাকা পেয়েছি।একই অভিযোগ উপজেলার অন্যান্য প্রদর্শনীপ্রাপ্ত কৃষকদের।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে একজন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ‘একটি মাঠ প্রদর্শনী করে এই জায়গায় আরও ৩-৪টি ব্যানার লাগিয়ে ছবি তোলেন। সম্প্রতি একটি প্রশিক্ষণে কৃষি অফিসার তার বাসার কাজের বুয়ার নাম অন্তর্ভুক্ত।

জমি প্রস্তুত, পরিচর্যার টাকা কৃষকদেরকে না দেয়ার বিষয় স্বীকার করে অভিযুক্ত রাজনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, “কিছু দিনের মধ্যে দেয়া হবে।’ অর্থবছর তো শেষ হয়েছে তাহলে কেন কৃষকদেরকে টাকা দেয়া হয়নি- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘টাকা উত্তোলন করে অফিসের অ্যাকাউন্টে রেখেছি। কিছুদিনের মধ্যে দিয়ে দিব ।

মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”সরকারি নির্দেশনা অমান্য, অনিয়ম ও দুর্নীতি করা সত্ত্বেও তাকে কীভাবে ‘শ্রেষ্ঠ কৃষি কর্মকর্তা নির্বাচিত করা হলো- এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

 

Manual7 Ad Code

সূত্র- দৈনিক সকালের সময় পত্রিকা,,,

 

এই নিউজ এর যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ দিয়ে নিউজ করার পরও এই অভিযুক্ত রাজনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: রেজাউল করিম সংবাদকর্মীকে মিথ্যা মামলার হুমকি ধামকি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংবাদ কর্মীরা । এ বিষয়ে তারা আইনের আশ্রয় নিবেন বলে জানিয়েছেন।