
রাজধানীর পুরান ঢাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা মো. জোবায়েদ হোসেনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। হত্যার মূল পরিকল্পনা করেন তাঁর ছাত্রী ও ছাত্রীটির প্রেমিক মাহির রহমান।
ঘটনার পটভূমি:
জোবায়েদ ছিলেন ওই মেয়েটির গৃহশিক্ষক।
ছাত্রীটির সঙ্গে জোবায়েদের একটি প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
একই সময়ে মেয়েটির সঙ্গে মাহির রহমানেরও সম্পর্ক চলছিল।
দুই সম্পর্কের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে মেয়েটি মাহিরকে বলে,
“জোবায়েদকে না সরাতে পারলে আমি তোমার হতে পারব না।”
পরিকল্পনা ও হত্যা:
২৬ সেপ্টেম্বর তারা হত্যার পরিকল্পনা করে।
মাহির ও তাঁর বন্ধু ফারদিন আহমেদ আইলান একটি চাকু কেনে।
১৯ অক্টোবর মেয়েটি তার শিক্ষক জোবায়েদকে বাসায় ডেকে আনে।
সিঁড়িঘরে মাহির জোবায়েদকে বলে, “ওকে ভুলে যান।”
তর্কের একপর্যায়ে মাহির ছুরি দিয়ে গলায় পোচ দেয়।
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই মারা যান জোবায়েদ।
শেষ মুহূর্তের দৃশ্য:
জোবায়েদ মৃত্যুর আগে ছাত্রীটির কাছে বলেন,
“আমাকে বাঁচাও।”
তখন মেয়েটি জবাব দেয়,
“তুমি না সরলে আমি মাহিরের হতে পারব না।”
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী:
হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী মেয়েটিই।
ঘটনাটির সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক বিষয় জড়িত নয়; এটি সম্পূর্ণ ত্রিভুজ প্রেমঘটিত হত্যাকাণ্ড।
মেয়েটি হত্যার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল এবং পুরো দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেছে।
আসামিরা:
ছাত্রী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)
মাহির রহমান
ফারদিন আহমেদ আইলান
পুলিশের বক্তব্য:
“বরগুনার মিন্নির ঘটনার সঙ্গে এ ঘটনার অনেক মিল রয়েছে,”
বলেছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এস. এন. নজরুল ইসলাম।
মৃত জোবায়েদ হোসেন:
বিভাগ: পরিসংখ্যান
ব্যাচ: ১৫তম (২০১৯–২০)
বাড়ি: কৃষ্ণপুর গ্রাম, হোমনা, কুমিল্লা
দাফন: পারিবারিক কবরস্থানে