প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৃত্য ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের দাবি জামায়াতের

প্রকাশিত: ১০:৪০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৫

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৃত্য ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের দাবি জামায়াতের

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৃত্য ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আজ রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে দলের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের কোনো বিশেষজ্ঞ শিক্ষক নেই। সমৃদ্ধ সিলেবাস থাকলেও শিক্ষার্থীরা ধর্মীয় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এর ফলে দেশে সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিয়েছে, শিক্ষার্থীরা ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার অভিযোগ করেন, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে সৎ নাগরিক ও নেতৃত্ব তৈরি হচ্ছে না। ধর্মীয় শিক্ষা মানুষের মধ্যে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ তৈরি করে, যা সৎ আচরণের ভিত্তি গড়ে তোলে এবং একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে সহায়ক।

তিনি আরও বলেন, “ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ না দিয়ে সংগীত ও নৃত্য শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। সংগীত বা নৃত্য আবশ্যিক কোনো বিষয় হতে পারে না। পরিবার চাইলে ব্যক্তিগতভাবে সন্তানকে এসব শিখাতে পারে। কিন্তু ধর্মীয় শিক্ষা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্যই জরুরি।”

জামায়াতের এ নেতা সরকারের সিদ্ধান্তকে “জাতির জন্য আত্মঘাতী” হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, যখন নতুন প্রজন্ম নৈতিক অবক্ষয়ের মুখে পড়েছে, তখন তাদের সংগীত ও নৃত্য শিক্ষা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এটি অনৈতিক সমাজ গঠনে সহায়ক হবে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি থাকলেও সরকার এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বরং নৃত্য ও সংগীত শিক্ষকের নিয়োগ পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে, যা তাঁর মতে “অযৌক্তিক ও দুঃখজনক” সিদ্ধান্ত।

শেষে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ধর্মীয় শিক্ষা শুধু মুসলমানদের জন্য নয়, বরং সব ধর্মাবলম্বী শিশুর জন্য সমানভাবে প্রয়োজনীয়। অথচ সরকারের বর্তমান পরিকল্পনা ভবিষ্যতে নৈতিক অবক্ষয় ও চরিত্রহীন মানুষ তৈরি করবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ নিউজ