
ফরিদপুরের সদরপুরে এক নারী পরিকল্পিতভাবে স্বামীকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে হত্যার চেষ্টা এবং পরে কবর দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে ভাগ্যক্রমে স্বামী ঠান্ডু ব্যাপারী (৩৫) প্রাণে বেঁচে গেছেন। বর্তমানে তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় স্ত্রী লাবনী আক্তার (২৮)কে আটক করেছে পুলিশ। তাঁর সঙ্গে হত্যাচেষ্টায় সহযোগিতা করেন মা শহিদা বেগম ও দাদি জানকি বেগম।
ঘটনাটি ঘটেছে সদরপুর উপজেলার ভাষানচর ইউনিয়নের মুন্সি গ্রামে। স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এ ঘটনায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সুফিয়া বেগম ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাতে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে ঠান্ডু ব্যাপারীকে খাওয়ানো হয়। গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হওয়ার পর রাত দেড়টার দিকে স্ত্রী লাবনী, শাশুড়ি শহিদা ও দাদি জানকি মিলে কাস্তে দিয়ে তাঁর গলা কাটার চেষ্টা করেন। তবে গলা সম্পূর্ণ না কাটায় ঠান্ডু চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
এর আগে বাড়ির একটি টিনের দোচালা ঘরের মেঝেতে আগেই কবর খোঁড়া ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ঘটনার পরপরই সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুকদেব রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন,
“এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাচেষ্টা। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ঠান্ডু ব্যাপারী ঢাকায় ব্যবসা করে জমি কেনার জন্য যে টাকা জমিয়েছিলেন, সেই টাকার লোভেই এ হত্যাচেষ্টা চালানো হয়েছে।”
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় স্ত্রী লাবনী আক্তারকে আটক করা হয়েছে এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
স্থান: মুন্সি গ্রাম, সদরপুর, ফরিদপুর
তারিখ: শুক্রবার, ৩ অক্টোবর
তদন্তকারী কর্মকর্তা: শুকদেব রায়, ওসি, সদরপুর থানা