দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ঈদগাহ মাঠ ও কবরস্থানের মাটি কেটে নেওয়া এবং গ্রামবাসীর ওপর হামলার ঘটনায় উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শিবলী সাদিককে দল থেকে বহিষ্কার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ-মিছিল করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
মানববন্ধন
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শিবনগর ইউনিয়নের রাজারামপুর ডাঙ্গাপাড়া (বিজিবি ক্যাম্পসংলগ্ন) এলাকায় দিনাজপুর–গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে অংশ নেন এলাকার পাঁচ শতাধিক নারী–পুরুষ।
ঘটনার বিবরণ
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার বিকেলে শিবলী সাদিক তাঁর কেনা পুকুর ভরাটের কাজ করছিলেন। একই সময় পুকুরের এক পাশ থেকে ভেকু দিয়ে বালু তোলা হচ্ছিল। অভিযোগ রয়েছে, এ সময় পাশের ঈদগাহ মাঠ ও কবরস্থানের প্রায় ১৭ ফুট মাটি কেটে নেওয়া হয়।
এতে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে শিবলী সাদিক তাঁর লোকজন ডেকে এনে গ্রামবাসীর ওপর হামলা চালান বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে ঈদগাহ কমিটির সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রনি, আনোয়ার হোসেন, গোলাম মওলা, রুবেল মণ্ডল ও মেরাজ হোসেন আকাশসহ কয়েকজন আহত হন।
অভিযুক্ত যুবদল নেতার বক্তব্য
এ অভিযোগ অস্বীকার করে শিবলী সাদিক বলেন,
“পুকুরটি আমাদের কেনা সম্পত্তি। সেখানে মাটি ভরাট করছিলাম, ঈদগাহের মাটি কাটার অভিযোগ সত্য নয়। স্থানীয় রনি ও রুবেল ওই পুকুর কিনতে চেয়েছিল। আমরা কিনে নেওয়ায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে হেয় করার জন্য এসব বলা হচ্ছে।”
যুবদলের অবস্থান
উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব মাহবুব আলম মিলন বলেন,
“এ ধরনের কর্মকাণ্ড দল কখনো সমর্থন করে না। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দলের পক্ষ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”