
আগামী মাসের শুরুতেই বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভারি বৃষ্টিপাত ও নিম্নাঞ্চল প্লাবনের আশঙ্কা রয়েছে।
লঘুচাপের বর্ধিতাংশ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত।
মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর দুর্বল, তবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি সক্রিয়।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও খুলনার অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
এতে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ২–৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
ঢাকা: ৬৮ মি.মি. (সর্বোচ্চ)
রাজশাহী: ৩৯ মি.মি.
বগুড়া: ৩৪ মি.মি.
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ১–৫ অক্টোবরের মধ্যে দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ:
তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, আপার করতোয়া, আত্রাই, টাঙ্গন, পুনর্ভবা, ঘাঘট, মহানন্দা, যমুনেশ্বরী প্রভৃতি নদীর পানি বাড়বে।
তিস্তা নদী সতর্কসীমায় পৌঁছাতে পারে।
লালমনিরহাট ও নীলফামারীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
চট্টগ্রাম বিভাগ (১–৪ অক্টোবর):
হালদা, সাঙ্গু, মাতামুহুরী, গোমতী, মুহুরী, সেলোনিয়া, ফেনী, নোয়াখালী খাল প্রভৃতি নদীর পানি বাড়বে।
মুহুরী, সেলোনিয়া ও ফেনী নদী সতর্কসীমায় পৌঁছাতে পারে।
ফেনী ও চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ (১–৫ অক্টোবর):
সুরমা-কুশিয়ারা, মনু, ধলাই, খোয়াই, ভুগাই-কংস, সোমেশ্বরীসহ বেশ কিছু নদীর পানি বাড়বে।
সোমেশ্বরী ও ভুগাই-কংস নদী সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে।
ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা ও শেরপুর জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা।