বাংলাদেশ সীমান্তের কয়লা ডিপোতে ভারতীয় লং রেঞ্জ স্যূটিং রাইফেলস্ আটক-৩

প্রকাশিত: ১:৪৬ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৭, ২০২৪

বাংলাদেশ সীমান্তের কয়লা ডিপোতে ভারতীয় লং রেঞ্জ স্যূটিং রাইফেলস্ আটক-৩

বাংলাদেশ সীমান্তের কয়লা ডিপোতে ভারতীয় লং রেঞ্জ স্যূটিং রাইফেলস্ আটক-৩

 

এমদাদুর রহমান চৌধুরী জিয়া :: বাংলাদেশ সীমান্তের সিলেটের সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বড়ছড়া স্থল শুল্ক স্টেশনে কয়লা আমদানিকারকের ডিপোতে থাকা অফিস কক্ষ থেকে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ভারতীয় লং রেঞ্জ স্যুটিং রাইফেলস সহ (স্নাইপার) তিন জনকে গ্রেফতার করেছে বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশ (বিজিবি)।

গ্রেফতারকৃতরা হল, সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের সীমান্ত গ্রাম টেকেরঘাটের বড়ছড়ার আবুল মিয়া ওরফে আবুল মেইকারের ছেলে রাজু, ওরফে জৌকার রাজু একই উপজেলার একই গ্রামের আলতু মিয়ার ছেলে জালাল মিয়াওরফ ফালতু জালাল , নুর আহমদের ছেলে রাসেল মিয়া ওরফে নোংরা রাসেল।

শুক্রবার সন্ধায় সিলেট সেক্টরের ২৮- বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি)’র সুনামগঞ্জের অধিনায়ক লে. কর্নেল একে এম জাকারিয়া কাদির অস্ত্রসহ তিনজনকে আটকায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

 

বিজিবি’র দায়িত্বশীল সুত্র ও সীমান্তের লোকজন জানান, ব্যাটালিয়নের তাহিরপুরের টেকেরঘাট বিজিবি’র কোম্পানী হেডকোয়ার্টারের একটি টহল দল
শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বড়ছড়া স্থল শুল্ক স্টেশনে থাকা মেসার্স শামীম ট্রেডার্স নামক কয়লা-চুনাপাথর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের সত্বাধিকারী দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের লেদারবন্দ গ্রামের আফছার উদ্দিনের ডিপোতে থাকা অফিস কক্ষ থেকে অস্ত্রসহ ওই তিন জনকে আটক করে বিজিবি।

 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠান প্রদান আফসার উদ্দিনের ফোন বন্ধ থাকলেও তার প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা আফছার উদ্দিনের ছেলে শামীম জানান, যে ডিপো কাম অফিস কক্ষ থেকে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে সেটি ভাড়াকৃত জায়গায় আমাদের ডিপো বা অফিস হলেও আমরা কয়েকবছর ধরে ওই ডিপোতে আমদানিকৃত কয়লা- চুনাপাথর মজুদ করিনি, এক রকম পতিত ডিপো বা অফিস বলা যায়। অস্ত্র সহ তিন জন গ্রেফতারের বিষয়টি তিনি লোকমুখে জেনেছেন বলেও জানান ।
রাত ৮টায় বিজিবির ব্যাটালিয়ন হেডকোয়ার্টারে বিজিবির সিলেট সেক্টরের দায়িত্বশীল অফিসার জানান, আপাতত যে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে সেই অস্ত্রের গায়ে মেইড ইন ভারত (ইন্ডিয়া ) লিখা রয়েছে। অস্ত্রটি মূলত লং রেঞ্জ রাইফেলস। অস্ত্রের সাথে অপটিক্যাল ল্যান্স ও অস্ত্রটি সেট করা অবস্থায় পাওয়া গেছে। এ ধরণের অস্ত্র মূলত প্রাণঘাতি , অস্ত্রের সাথে জুড়ে থাকা অপটিক্যাল ল্যান্স দুরে থাকা টার্গেটকৃত ব্যাক্তিকে শব্দহীন ভাবে স্যুট করে আক্রমণ করার কাজে সন্ত্রাসীরা বহি:বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যবহার করে থাকে।
বিজিবির প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, কয়েক মামলায় সদ্য সুনামগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে জামিনে বেড়িয়ে আসা অপর এক ছিনতাইকারী ও সন্ত্রাসী সীমান্তের ওপার ভারত থেকে অস্ত্রটি সংগ্রহ করে অন্য কোন চক্রের নিকট বিক্রয় বা হস্তান্তরের জন্য।

 

প্রেস বিফিংকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)র সিলেট সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী সহ বিজিবি’র সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়নের দায়িত্বশীল অফিসারগণ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তাহিরপুর থানা পুলিশের ওসি দেলোয়ার হোসেন শুক্রবার রাতে জানান, বিজিবি এখনো লিখিত এজহার দেয়নি । আপাতত সীমান্তে আটক অস্ত্র সহ ৩ আসামিকে সুনামগঞ্জ মডেল থানায় নিরাপত্তা জনিত কারণে রাখা হয়েছে।

 

সীমান্তের টেকেরঘাট ফাড়িতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। বিশেষ নজরদারি রাখা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। একজন উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআইর) নেতৃত্বে দুইজন সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এ,এস আই সহ ) অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা সেখানে অবস্থান করছেন।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি নাজমুল হক তাহিরপুর থানার বড়ছড়া সীমান্তে ভারতীয় রাইফেল সহ আটক আসামিদের আপাতত বিজিবি সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার হাজতে রেখেছে বলে স্বীকার করেছেন। তবে এদের বিরুদ্ধে আগে থেকে সদর মডেল থানায় কোন মামলা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।

 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ নিউজ