১৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

বিজিবির নামে লাইনম্যান হযরত আলীর চাঁদাবাজির শেষ কোথায়

admin
প্রকাশিত ১৫ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার, ২০২৪ ২০:৪৮:১৭
বিজিবির নামে লাইনম্যান হযরত আলীর চাঁদাবাজির শেষ কোথায়

Manual3 Ad Code

বিজিবির নামে লাইনম্যান হযরত আলীর চাঁদাবাজির শেষ কোথায়

Manual2 Ad Code

 

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং জিরো পয়েন্ট সীমান্ত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র লাইনম্যান হযরত আলী আর ইবু। এদের নেতৃত্বেই চলছে অবৈধ পথে চোরাকারবারীদের রমরমা ব্যবসা চাঁদাবাজি

Manual8 Ad Code

চোরাকারবারীদের গডফাদার হযরত আলী ও ইবু গংরা কোন কিছুর তোয়াক্ষা না করে নিজেরা ভুঙ্গার ব্যবসা করে যাচ্ছে অন্যদের দিয়েও ভুঙ্গার ব্যবসা করার সুযোগ করে দিচ্ছে। আলী নামটি একজন জ্ঞান পিপাসুর নামের সাথে মিল থাকায় সবাই তাকে বিশ্বাস করে। কিন্তু তিনি কাজ করেন সম্পূর্ণ উল্টো। তিনি আজ বনে গেছেন অবৈধ চোরাকারবারীদের স্বঘোষিত গডফাদার। চোরাকারবারীদের মূল হোতা আলী হচ্ছে সর্বেসর্বা।

জাফলং জিরো পয়েন্ট ১২৭৩ পিলার হইতে/১২৭৩:এস ৫ পাইব পিলার দিয়ে ‌সুযোগ-সুবিধা ভালো থাকায় জাফলং জিরো পয়েন্ট দিয়ে তিন থেকে চার মিনিটের মধ্যে ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াতের সুযোগে ভারত থেকে মাল নিয়ে আসছে।

Manual2 Ad Code

তাই হযরত আলী এবং ইবু বিজিবিকে ম্যানেজ করে দিনে-রাতে প্রকাশ্যে নিজেরা ব্যবসা করছে আবার চোরাকারবারীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে যাচ্ছে। ফলে অহরহ ভারত থেকে বাংলাদেশে নিরাপদে‌ আসছে নেশা জাতীয় মদ, ইয়াবা, ফেন্সিডিল, চিনি, চা পাতা, কসমেটিক্স, শাড়ি, থ্রি-পিস, লেহেঙ্গা, পান-সুপারি, জিরা, এলাচি, ডালচিনি, লং‌, গুলমরিচ।

জাফলং জিরো পয়েন্টে হযরত আলী ও ইবুর নিজেদের দোকান রয়েছে। সেই সুযোগ নিজেদের ভালো থাকায় নিজেরাও ব্যবসা করেন আবার চোরাকারবারিদের কাছ থেকে চাঁদাও আদায় করেন। মাঝেমধ্যে নামে মাত্র লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করিয়ে প্রশাসনের উপর মহলকে দেখান।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভুঙ্গা ব্যবসায়ী জানান, ‘আমরা বিজিবির লাইন ম্যান হযরত আলী ও ইবুকে ম্যানেজ করে ব্যবসা করছি দীর্ঘ দিন ধরে । এজন্য আমরা মোটা অংকের টাকা দেই তাদেরকে।’

Manual4 Ad Code

অনুসন্ধানে জানা যায়, জাফলং জিরো পয়েন্ট দিয়ে ব্যবসা করতে সুযোগ সুবিধা ভালো এবং নৌপথে‌ খুবই সহজ‌ কোনো সমস্যা নেই। জিরো পয়েন্ট মসজিদ এর উত্তর দিকে মার্কেটের মধ্যে প্রতিটি গোডাউনে রয়েছে হাজার হাজার বস্তা চিনি, চা পাতা, কসমেটিক্স, শাড়ি, থ্রি পিস, লেহেঙ্গাসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য। গোদামে জমাকৃত এই অবৈধ পণ্য সুবিধা মতো মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, ডি আই ও নৌপথে পাচার করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে সংগ্রাম ক্যাম্প কমান্ডারের মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ না করায় তাহার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।