বিজিবি-পুলিশের সোর্স পরিচয়ে বেপরোয়া চাঁদাবাজি ?

প্রকাশিত: ১১:৩৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৬, ২০২৩

বিজিবি-পুলিশের সোর্স পরিচয়ে বেপরোয়া চাঁদাবাজি ?

বিজিবি-পুলিশের সোর্স পরিচয়ে বেপরোয়া চাঁদাবাজি

নিজস্ব প্রতিবেদক::- সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউপির ৪৮ বিজিবির আওতাধীন বিভিন্ন পয়েন্টে বিশেষ সীমান্ত ফাঁড়ির নাম ভাঙিয়ে চোরাকারবারীদের নিকট থেকে এক ৩জনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে ওই এলাকা ঘুরে জানা গেছে, স্থানীয় লুৎফুর মিয়া, এম শাহীন, সেলিম,নামে তিন ব্যক্তি বিজিবির নামে এই চাঁদা আদায় করছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তারা দীর্ঘদিন থেকে বিজিবির নামে চাঁদা আদায় করছে এই তিনজনই। সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টের চোরাচালান ঘাট থেকে সাপ্তাহিক গোপন চুক্তি করে চোরাকারবারিদের নিকট থেকে এই চাঁদা আদায় করছে। যে কারণে ওই এলাকা দিয়ে দিনে ও রাতের আঁধারে হাজার হাজার টাকার ভারতীয় পণ্য পাচার হয়ে আসছে। ফলে সীমান্তবর্তী বাজারগুলোতে দেশীয় পণ্য অবিক্রিত হয়ে পড়ায় সরকার মোটা অংকের টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।

 

এদিকে সীমান্তবাসীর উদ্ধৃতি দিয়ে একাধিক সুত্রে জানা গেছে, চোরাকারবারিরা সীমান্ত এলাকার বাজার দখল করার জন্য গভীর রাতে জাফলং বাজার,মামার বাজার, ও সীমান্তের রাস্তাঘাট জনশূন্য হলে ভারতীয় পণ্য পাচারের ঢল নামে। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এলাকার লুৎফুর মিয়া, এম শাহীন, সেলিম, চোরাই পথে আসা ভারতীয় পণ্য থেকে পুলিশ ও বিজিবির সোর্স সেজে চোরাকরবারিদের নিকট থেকে বিজিবি ও পুলিশের নাম ভাঙিয়ে মালের টোপলা হিসেবে চাঁদা আদায় করে থাকে। বর্তমানে জাফলং সীমান্তের তামাবিল,আমস্বপ্ন, সোনাটিলা, গুচ্ছগ্রাম, সিঁড়িরঘাট, এলাকা দিয়ে যেসব ভারতীয় পণ্য ভারত থেকে আসছে তার মধ্যে মাদকদ্রব্য, চোরাই বাইসাইকেল, পাতার বিড়ি, জর্জজেট শাড়ী, থ্রিপিচ, বিভিন্ন আইটেমের জুতা, হাড়ি পাতিল, বালিশের কভারসহ বিভন্ন প্রকার মালামাল। জাফলং সীমান্ত এলাকার এই চোরাই পথ দিয়ে পণ্যগুলো,মোটরসাইকেল, ইঞ্জিনভ্যান, নসিমন ডিআই গাড়িতে ভরে জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে চোরাকারবারিরা পাচার করে থাকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার সাবেক এক জনপ্রতিনিধি বলেন, এসব চোরাকারবারি ব্যবসায়ীরা বৈধ পথে ভারতীয় পণ্য সামগ্রী আনলে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব পেতেন। তিনি দাবী করে বলেন, স্থানীয় বিজিবির উচিৎ এসব অবৈধ চোরাই পথগুলো বন্ধ করে দেওয়া। তিনি এবিষয়ে সিলেট বিজিবির ৪৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

 

এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত চাঁদা আদায়কারী জাফলং তামাবিল সীমান্তের বিজিবির সোর্স লুৎফুর এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটা চাঁদাবাজি না। আমি তামাবিল আমস্বপ্ন এলাকা বিজিবির বিশেষ ক্যাম্পের সাথে সাপ্তাহিক চুক্তির বিনিময়ে এই টাকা আদায় করছি। এবিষয়ে মুঠোফোনে এম শাহীন বলেন ভাই আপনারা আমাকে নিয়ে লেখালেখি করে কোন লাভ নেই। আমি আমার ব্যক্তিগতভাবে কোন চাঁদা আদায় করছি না, আমি আপনাকে খরচ-বাবুত কিছু টাকা পাঠিয়ে দেয় আমাকে নিয়ে অযথা লিখে কোন লাভ নেই। আমাকে বিজিবি টাকা উত্তোলনের দায়িত্ব দেওয়ায় আমি চাঁদা আদায় করছি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ নিউজ