সিলেট ৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৩৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৫
ট্রাফিকপুলিশের অনৈতিক আয় অর্ধকোটি টাকা, বিপ্লবে অনেক কিছু পরিবর্তন হলেও ট্রাফিকপুলিশের স্বভাব চরিত্রে কোনো পরিবর্তন আসেনি
বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য সম্প্রতি পুলিশের পোশাক বদল হয়েছে। পরিবর্তন এসেছে সরকারের বিভিন্ন দফতরে। জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার ম্যারাথন দৌড় খেয়েও ট্রাফিকপুলিশের স্বভাব চরিত্রে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
৫ আগস্টের পরে কর্মস্থলে যোগদান করতে ভয় পাওয়া জাতির সেবকরা এখন নির্ভয়ে সড়কে লাগামহীন চাঁদাবাজি করছেন। সিলেট মেট্রোপলিটন ট্রাফিকপুলিশের ৭জন সদস্যের মাসিক অনৈতিক ইনকাম টাকার অংকে অর্ধ কোটি টাকা।
তাদের মধ্যে একজন সার্জেন্ট বাকিরা টিআই। উপর মহলের আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় এসএমপিতে চাঁদাবাজির দিক থেকে সবাইকে ছাঁড়িয়ে শীর্ষে অবস্থান করছেন এক সার্জেন্ট। চাঁদাবাজিতে এওয়ার্ড পাওয়ার যোগ্য সেই গুণধর দুর্নীতির বরপুত্রের নাম সার্জেন্ট প্রকাশ। সিলেট মেট্রোপলিটনের ৬টি সহ ১৭টি থানা এলাকার যানবাহন রিকুইজিশন করার গুরু দায়িত্ব সার্জেন্ট প্রকাশের উপর ন্যস্ত। আর তাতেই তার কপাল খোলে যায়। সিলেটে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরকারি কাজের জন্য প্রতিদিন ৫টা নোহা বা মাইক্রোবাস, ১০টা সিএনজি অটোরিকশা ও ৫টা লেগুনা কখনো অন্যান্য যানবাহন রিকুইজিশন করার প্রয়োজন হয়।
অথচ দিনে প্রায় শতাধিক যানবাহন আটক করে রিকুইজিশনের নামে চলে চাঁদাবাজি। ফিটনেসবিহীন প্রতি যানবাহনকে ৭০০ টাকার বিনিময়ে দেয়া হয় রিকুইজিশন স্লিপ। সেই স্লিপ দেখিয়ে চালকরা নির্ঝঞ্ঝাট সড়কে যানবাহন নিয়ে স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারেন। স্লিপযুক্ত যানবাহনে করে মাদক, ভারতীয় পণ্যসহ অবৈধ মালামাল পরিবহন হচ্ছে বলে একটি সংস্থা নিশ্চিত করেছে। রিকুইজিশন চাঁদাবাজি থেকে প্রকাশের দিনে আয় ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। মাসে আয়ের পরিমান দাঁড়ায় প্রায় ১৮ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা। সেখান থেকে ভাগ পান ট্রাফিক অফিসে প্রশাসন শাখায় কর্মরত টিআই শফিক, প্রসিকিউশন শাখায় কর্মরত টিআই সুহেল সহ ঊর্ধ্বতন কয়েকজন। সার্জেন্ট থেকে তেমন একটা পিছিয়ে নেই টিআই মোশাররফ হোসেন।
সিলেট শহরের প্রবেশদ্বার দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশিদ চত্বরে মোশাররফের ফেলে রাখা জালে আটকা পড়ছেন সুবিধাভোগীরা। পণ্যবাহী যানবাহন শহরে প্রবেশে নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে নির্ধারিত চাঁদা দিয়ে হুমায়ুন রশিদ চত্বর হয়ে নগরীতে ঢুকছে। চত্বর দিয়ে চালিবন্দর পৌঁছলে ট্রাক প্রতি দিতে হয় ৮০০ টাকা, বুরহান উদ্দিন রোডে যাতায়াত করলে ৫০০ টাকা করে নেন মোশাররফ। দিনে ১৫ থেকে ২০টি ট্রাক নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে প্রবেশ করে পণ্য লোড আনলোড করছে। ট্রাক ছাঁড়াও তার সাথে চুক্তির আওতাধীন রয়েছে অনুমোদনহীন শতাধিক টমটম। কদমতলীর বান্দের নিচে চলা টমটম থেকে ও হানিফের মাধ্যমে প্রতিদিন ১ হাজার টাকা ।
সূত্র – রাইজিং সিলেট
প্রধান উপদেষ্টা: বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক,
উপদেষ্টা : খান সেলিম রহমান, জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকা, ঢাকা ।
উপদেষ্টা : মোহাম্মদ হানিফ,
প্রকাশক : মোঃ ফয়ছল কাদির,
সম্পাদক : মাছুম কাদির,
সিলেট অফিস : রংমহল টাওয়ার(৪র্থ তলা) বন্দরবাজার সিলেট,৩১০০। মোবাইল নং-০১৭১৮৬২০২৯১,
ই-মেইল : Foysolkadir503@gmail.com,
Design and developed by DHAKA-HOST-BD