১৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ভারতীয় অবৈধ গরু-মহিষ থেকে বিজিবি-পুলিশের নামে চাঁদা আদায়কারি কে এই গোলাম হোসেন

admin
প্রকাশিত ৩১ মে, শনিবার, ২০২৫ ২২:০১:২৮
ভারতীয় অবৈধ গরু-মহিষ থেকে বিজিবি-পুলিশের নামে চাঁদা আদায়কারি কে এই গোলাম হোসেন

Manual3 Ad Code

ভারতীয় অবৈধ গরু-মহিষ থেকে বিজিবি-পুলিশের নামে চাঁদা আদায়কারি কে এই গোলাম হোসেন ও খালিক

 

সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকায় চোরাকারবারিদের বরাবরের মতই দৌরাত্ম্য চলছে। বিশেষ করে গোয়াইনঘাটের বিছনাকান্দি সীমান্ত চোরাচালানের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করছে চোরাকারবারিরা। বিছনাকান্দি সীমান্ত পথে দিন-রাতে ভারত থেকে স্রোতের মতো আসছে গরুসহ চোরাইপণ্য। ঢুকছে মাদকসহ নানা অবৈধ পণ্য।

Manual1 Ad Code

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই চোরাচালানের নেপথ্যে রয়েছেন বিছনাকান্দি ইউনিয়নের উপরগ্রামের গোলাম হোসেন এবং এম এ খালিক, লাইনম্যান পরিচিত হাইজ্জাসহ একটি চক্র। তারা বিজিবি ও থানা পুলিশকে ‘ম্যানেজ’ করে নিরাপদে এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।

 

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২ জুন বিছনাকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে গোলাম হোসেনের বাড়ি থেকে ৪০টি ভারতীয় গরু আটক করে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন।

 

Manual7 Ad Code

তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঝেমধ্যে এসব অভিযান চালিয়ে চোরাই গরুসহ মালামাল আটক করলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় মূল হোতারা। এসব তথ্য জানিয়েছেন সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা।

Manual4 Ad Code

 

বিছনাকান্দি ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকা ঘুরে জানা যায়, আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানির জন্য গোয়াইনঘাটের বিছনাকান্দি সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন দেশে প্রবেশ করছে ভারতীয় হাজার হাজার গরু ও মহিষ। সীমান্ত পেরোনোর পর সড়ক পথে প্রকাশ্যে পৌছেঁ যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন শহরে। আর এইসব প্রতি গরুর গাড়ি থেকে ১২ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করছেন এই গোলাম হোসেন ও তাহার সহযোগী এম এ খালিক সিন্ডিকেট।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাতের আঁধারে বিজিবি ও বিএসএফ’র সমন্বয়ে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া খুলে দলবেঁধে নামানো হয় গরু। এপারে আসার পর আরও কয়েকজন গুনে গুনে গরু গুলো গ্রহণ করা হয়। এরপর গরু নিয়ে আসা হচ্ছে সিলেটের গরুর হাটে। আশপাশেই বিজিবি সদস্যরা টহল দিলেও এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেই তাদের এবং নীরব ভূমিকা পালন করছে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশও।

 

এ বিষয়ে জানতে সিন্ডিকেটের প্রধান গোলাম হোসেনের মুটোফোনে কল করা হলে তিনি বলেন আমি আগে জড়িত ছিলাম, বর্তমানে এসবের মধ্যে নেই, আমি কুয়ারিতে বালুু পাথরের ব্যবসা করতেছি আপনারা খবর নিয়ে দেখতে পারেন।

Manual7 Ad Code

 

এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল বলেন, অবৈধ পথে ভারতীয় পণ্য কোনভাবে দেশে আসার সুযোগ নেই। এরকম কোন খবর পেলে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশকে জানাবেন, আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।