ভারতের বিরুদ্ধে আবারও সরব ট্রাম্প: বাণিজ্য সম্পর্ককে বললেন ‘একপক্ষীয় বিপর্যয়’

প্রকাশিত: ১২:৪২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২, ২০২৫

ভারতের বিরুদ্ধে আবারও সরব ট্রাম্প: বাণিজ্য সম্পর্ককে বললেন ‘একপক্ষীয় বিপর্যয়’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও ভারতের সমালোচনায় সরব হয়েছেন। তিনি দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ককে আখ্যা দিয়েছেন ‘সম্পূর্ণ একপক্ষীয় বিপর্যয়’। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চীনে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সম্মেলনে যোগ দিয়ে প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং ও ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের পরপরই ট্রাম্প এ মন্তব্য করেন। খবর এনবিসির।

শুল্ক নীতি নিয়ে অভিযোগ

ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে দাবি করেন, ভারত অনেক দেরিতে শুল্ক শূন্য করার প্রস্তাব দিয়েছে। তাঁর মতে, এ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল বহু বছর আগে। এর আগে ভারতীয় রপ্তানি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্র ৫০ শতাংশ শুল্ক বসায়—প্রথমে ২৫ শতাংশ, পরে রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে আরও ২৫ শতাংশ বাড়ানো হয়। ভারত এ শুল্ককে ‘অন্যায্য, অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন’ বলে বর্ণনা করেছে।

ট্রাম্প অভিযোগ করেন, ভারত যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল পরিমাণ পণ্য বিক্রি করছে, অথচ মার্কিন রপ্তানি পণ্যে উচ্চ শুল্ক আরোপ করছে। “আমাদের ব্যবসাগুলো ভারতে পণ্য বিক্রি করতে পারছে না। এটা পুরোপুরি একপক্ষীয় বিপর্যয়।”—লিখেছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্কে টানাপোড়েন

ডব্লিউটিও’র তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে গড় শুল্ক ছিল ৬.২ শতাংশ, অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় পণ্যে নিয়েছিল ২.৪ শতাংশ। দীর্ঘদিন সম্পর্ক উন্নতির ধারায় থাকলেও সম্প্রতি দুই দেশের সম্পর্কে অবনতি ঘটছে। বিশেষ করে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল ও অস্ত্র আমদানি নিয়েই দ্বন্দ্ব বাড়ছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত মাসে বলেছিল, “যে দেশগুলো আজ ভারতের সমালোচনা করছে, তারাই রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করছে। পার্থক্য হলো, আমাদের ক্ষেত্রে এটা জাতীয় প্রয়োজন।”

চীন-ভারত ঘনিষ্ঠতা প্রসঙ্গ

মোদির চীনে এসসিও সম্মেলনে অংশগ্রহণের পর মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, শুল্ক নীতি নয়, বরং ‘লোক দেখানো আয়োজন’ হিসেবেই এই সম্মেলনকে দেখা উচিত। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিল্লি-বেইজিং সম্পর্ক উন্নত হলে প্রযুক্তি ও শিল্পায়নে ভারত লাভবান হবে।

জিওম্যাক্রো স্ট্র্যাটেজির প্রধান কৌশলবিদ মার্কো পাপিকের মতে, “দীর্ঘ মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্র চীনকে মূল প্রতিপক্ষ দেখানোর কৌশলগত লড়াইয়ে দুর্বল হচ্ছে। এর ফলে বহুমুখী শক্তির বিশ্বব্যবস্থা আরও মজবুত হচ্ছে।”

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ নিউজ