ভাসানচরকে হাতিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করার প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ১১:২২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১২, ২০২৫

ভাসানচরকে হাতিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করার  প্রতিবাদে মানববন্ধন

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া থেকে ভাসানচরকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ ও উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।

 

 

 

 

 

শনিবার বিকেলে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে হাতিয়া সমিতির ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। আন্দোলনকারীরা ভাসানচরের ওপর অবৈধ হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এসময় উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানের পদত্যাগের দাবি করেন তারা।

 

 

এ সময় বক্তব্য রাখেন সমিতির সভাপতি এহসানুল কবির সোহেল, সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট আবু ছায়েদ মোহাম্মদ নোমান, যুব কল্যান পরিষদের সভাপতি মো. শাহদাত হোসেনসহ অনেকে।

 

 

 

 

বক্তারা বলেন, ভাসানচর একটি মিমাংসীত বিষয়। এটিকে সন্ধীপের সাথে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা করে আঞ্চলিক দাঙ্গা লাগানোর উসকানি দেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়ে নগ্ন হস্তক্ষেপ করছেন সন্ধীপের বাসিন্দা ও বর্তমান সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্ঠা ফাওজুল কবির খান। যা কোন ভাবে মেনে নেওয়া হবে না। আঞ্চলিক শান্তি বিনষ্ট করার কারণে এই উপদেষ্ঠার পদত্যাগের দাবি জানানো হয়। এ ষড়যন্ত্র দ্রুত অবসান করে ভাসানচরকে হাতিয়ায় বহাল না রাখলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেওয়া হয়।

 

জানা যায়, নোয়াখালী থেকে সন্ধীপ আলাদা হয় ১৯৫৪ সালে। এর পর সাগরে জেগে উঠা নতুন এসব চর নোয়াখালী জেলার সাথে রেখে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ভাসানচরের দিয়ারা জরিপের মাধ্যমে ৬টি মৌজায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সেই ছয় মৌজার একটি ভাসানচর। পরে হাতিয়া উপজেলাধীন বনবিভাগ ২০০২-২০০৩ সালে বনায়ন সৃজন করে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প হিসেবে ভাসানচরকে হাতিয়া উপজেলার প্রশাসনিক এলাকার মধ্যে নিরাপত্তাসহ রাষ্ট্রীয় সকল ধরনের কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে।

সর্বশেষ নিউজ