
চলতি বছরের মাঝামাঝি একসঙ্গে ৫৫ দেশের নাগরিকদের জন্য ২৪০ ঘণ্টা বা ১০ দিন ট্রানজিট ভিসামুক্ত নীতি চালু করেছে চীন। এর ফলে দেশটির পর্যটন খাতে চোখে পড়ার মতো উন্নতি এসেছে।
জাতীয় অভিবাসন প্রশাসন (এনআইএ) জানিয়েছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত চীনে প্রায় ২৫ মিলিয়ন আন্তর্জাতিক পর্যটক ভ্রমণ করেছেন। এর মধ্যে ১৬ মিলিয়নের বেশি পর্যটক ভিসামুক্ত সুবিধা নিয়েছেন, যা গত বছরের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি।
আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো থেকেই এসেছে সবচেয়ে বেশি পর্যটক। প্রায় ৯ মিলিয়ন আসিয়ান নাগরিক ভিসামুক্ত সুবিধায় চীন ভ্রমণ করেছে। মালয়েশিয়ার উদাহরণটি সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য—১৭ জুলাই থেকে ভিসামুক্ত হওয়ার পর মাত্র কয়েক মাসে দেশটি থেকে চীনে ভ্রমণ করেছে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার মানুষ। এর মধ্যে ১ লাখ ৫০ হাজারই ভিসামুক্ত সুবিধা নিয়েছে।
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে রাশিয়ান নাগরিকদের জন্য ভিসামুক্ত থাকার মেয়াদ ১০ দিন থেকে বাড়িয়ে ৩০ দিন করা হয়েছে। এর ফলে রাশিয়ান পর্যটকদের আগ্রহও কয়েক গুণ বেড়েছে। নতুন নীতি কার্যকর হওয়ার প্রথম দিনেই চীনে প্রবেশ করে এক হাজারের বেশি রাশিয়ান।
ভিসামুক্ত ভ্রমণের কারণে জটিল কাগজপত্র, ভিসা আবেদন বা দীর্ঘ অপেক্ষার ঝামেলা ছাড়াই পর্যটকেরা সহজে সিদ্ধান্ত নিয়ে চীনে ভ্রমণ করতে পারছেন। এতে তাদের সময় ও খরচ দুটোই কমছে।
পর্যটক বৃদ্ধির কারণে সীমান্তে চাপ বেড়ে যাওয়ায় কর্তৃপক্ষ প্রবেশ প্রক্রিয়া সহজ করেছে এবং অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ দিয়েছে। ফলে পর্যটকেরা দ্রুত ও ঝামেলাহীনভাবে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারছেন।
করোনা-পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক পর্যটন ফিরিয়ে আনতে চীনের ভিসামুক্ত নীতি বড় ভূমিকা রাখছে। আসিয়ান দেশ, মালয়েশিয়া ও রাশিয়ার মতো বাজারকে টার্গেট করে নেওয়া পদক্ষেপগুলো দেশটির পর্যটন আয়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।