ওয়াশিংটন/কারাকাস, ২১ ডিসেম্বর:
ভেনেজুয়েলার উপকূলের আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলবাহী ট্যাংকার ধাওয়া করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অভিযানটি সফল হলে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তৃতীয় তেলবাহী জাহাজ জব্দের ঘটনা ঘটবে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে ভেনেজুয়েলার ওপর ‘সর্বাত্মক নৌ অবরোধ’ ঘোষণার পর থেকেই এই চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে একটি তেল ট্যাংকারকে লক্ষ্য করে অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে অভিযানের সুনির্দিষ্ট অবস্থান বা জাহাজটির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
এ বিষয়ে হোয়াইট হাউস কিংবা পেন্টাগন থেকে তাৎক্ষণিক কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিলের পরিচালক কেভিন হ্যাসেট জানান, এর আগে জব্দ করা দুটি ট্যাংকার কালোবাজারের মাধ্যমে বিভিন্ন নিষিদ্ধ দেশে ভেনেজুয়েলার তেল সরবরাহ করছিল। তিনি দাবি করেন, এসব জাহাজ আটকানোর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে তেলের দামে কোনো প্রভাব পড়বে না। তাঁর মতে, এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং কেবল কালোবাজারে যুক্ত জাহাজগুলোই লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে।
তবে বাজার বিশ্লেষক ও তেল ব্যবসায়ীরা ভিন্নমত পোষণ করছেন। একজন তেল ব্যবসায়ী রয়টার্সকে বলেন, এ ধরনের সামরিক পদক্ষেপ ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে আগামীকাল সোমবার এশিয়ার বাজারে তেলের দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা এই মূল্যবৃদ্ধিকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে বলে মত দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর থেকে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ওপর চাপ বাড়াতে ট্রাম্প প্রশাসন ওই অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি কয়েক গুণ বাড়িয়েছে। গত কয়েক মাসে প্রশান্ত মহাসাগর ও ক্যারিবিয়ান সাগরে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট জাহাজের ওপর অন্তত দুই ডজন সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, এসব অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছেন।