ভোজ্যতেলের (সয়াবিন ও পাম তেল) দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ট্যারিফ কমিশন ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে বৈঠক হলেও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সোমবার সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে উপস্থিত সূত্র জানায়, ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলো লিটারে ১০ টাকা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। তবে সরকার আপাতত লিটারে মাত্র ১ টাকা বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছে।
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, “ব্যবসায়ীরা যে প্রস্তাব দিয়েছে তা আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় অনেক বেশি। বিষয়টি পর্যালোচনা করে আবার আলোচনা হবে, তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল ওয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। টিকে গ্রুপের পরিচালক (ব্র্যান্ড) শফিউল আতহার তসলিম বলেন, দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে, তবে কতটুকু বাড়বে তা পরবর্তী আলোচনায় নির্ধারণ করা হবে।
সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক বাজারে গত সপ্তাহে ভোজ্যতেলের দাম ১৮–২০ শতাংশ বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম ১,২০০ ডলার এবং পাম ওয়েলের দামও ঊর্ধ্বমুখী। ট্যারিফ কমিশনের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সয়াবিন তেলের দাম লিটারে সাড়ে চার টাকা এবং পাম তেলের দাম ৭ টাকা বাড়ানো যৌক্তিক।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল সয়াবিন তেলের দাম ১৮৯ টাকা এবং পাম তেলের দাম ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পরে ১২ আগস্ট পাম তেলের দাম ১৯ টাকা কমিয়ে ১৫০ টাকা করা হয়, তবে সয়াবিন তেলের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়।
ব্যবসায়ীরা আরও জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাম্প্রতিক এক শতাংশ উৎসে কর আরোপ ভোজ্যতেলের দামে প্রভাব ফেলছে।