সিলেট ১০ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:৪৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫
মহানবী মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মানব, যিনি দয়া ও ভালোবাসার জীবন্ত মূর্ত প্রতীক। জাতি, ধর্ম বা বর্ণ নির্বিশেষে সকলের প্রতি তাঁর বুকভরা সহমর্মিতা ছিল। বিপদে-আপদে মানুষ তাঁর কাছে আশ্রয় পেত এবং দুঃখ-কষ্ট প্রাণ খুলে জানাতে পারত। আল্লাহ তাআলা তাঁকে বর্ণনা করেছেন ‘নিশ্চয়ই তুমি মহান চরিত্রের ওপর অধিষ্ঠিত’ (সুরা কলম: ৪)|
মহানবী (সা.) ছিলেন মজলুমের সাহায্যকারী, অসহায়ের পাশে দাঁড়াতেন এবং ধৈর্যের প্রতীক ছিলেন। তিনি মন্দকে ভালো দিয়ে প্রতিহত করতেন, সদা হাসিমুখে ও উদার হৃদয়ে মানুষের সঙ্গে মিলিত হতেন।
হজরত হাসান (রা.) বলেছেন, নবীজি (সা.) ছিলেন হাস্যোজ্জ্বল, অমায়িক ও বিনয়ী। তিনি তিনটি জিনিস পরিহার করতেন—রিয়া বা আত্মপ্রকাশ, অতিরঞ্জন ও অনর্থক কাজ। মানুষের জন্যও তিনটি জিনিস পরিহার করতেন: নিন্দা না করা, দোষারোপ না করা এবং সওয়াবের প্রত্যাশা ছাড়া কোনো কথা না বলা।
মহানবী (সা.) প্রাণী ও মানুষের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন করতেন। মানুষের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনাতেন এবং শ্রোতাদের কথা শোনা ও বলা উভয়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতেন। তাঁর এই আচরণে অনেক শত্রুও ইসলাম গ্রহণ করেছিল।
মহানবী (সা.) জন্ম থেকে বার্ধক্য পর্যন্ত জীবনের সব পর্যায়ে মানবজীবনের করণীয় ও বর্জনীয় বিষয় নিখুঁতভাবে প্রদর্শন করেছেন। তাঁর আদর্শ অনুসরণ না করলে মুসলমানের ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তি সম্ভব নয়।
আজকের মুসলিম সমাজের ক্রমবর্ধমান চারিত্রিক অবক্ষয়, পারিবারিক ও সামাজিক জীর্ণতা দূর করতে মহানবীর (সা.) আদর্শই একমাত্র সমাধান। তাঁর আদর্শ অনুসরণে সমাজে ন্যায়, মমত্ববোধ ও সহমর্মিতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
লেখক: মুফতি ইবরাহীম আল খলীল, সহকারী শিক্ষাসচিব, মাদ্রাসা আশরাফুল মাদারিস, তেজগাঁও, ঢাকা
প্রধান উপদেষ্টা: বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক,
উপদেষ্টা : খান সেলিম রহমান, জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকা, ঢাকা ।
উপদেষ্টা : মোহাম্মদ হানিফ,
প্রকাশক : মোঃ ফয়ছল কাদির,
সম্পাদক : মাছুম কাদির,
সিলেট অফিস : রংমহল টাওয়ার(৪র্থ তলা) বন্দরবাজার সিলেট,৩১০০। মোবাইল নং-০১৭১৮৬২০২৯১,
ই-মেইল : Foysolkadir503@gmail.com,
Design and developed by DHAKA-HOST-BD