মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর মহান চরিত্র ও আদর্শ

প্রকাশিত: ৮:৪৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫

মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর মহান চরিত্র ও আদর্শ

মহানবী মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মানব, যিনি দয়া ও ভালোবাসার জীবন্ত মূর্ত প্রতীক। জাতি, ধর্ম বা বর্ণ নির্বিশেষে সকলের প্রতি তাঁর বুকভরা সহমর্মিতা ছিল। বিপদে-আপদে মানুষ তাঁর কাছে আশ্রয় পেত এবং দুঃখ-কষ্ট প্রাণ খুলে জানাতে পারত। আল্লাহ তাআলা তাঁকে বর্ণনা করেছেন ‘নিশ্চয়ই তুমি মহান চরিত্রের ওপর অধিষ্ঠিত’ (সুরা কলম: ৪)|

শ্রেষ্ঠ গুণাবলির অধিকারী

মহানবী (সা.) ছিলেন মজলুমের সাহায্যকারী, অসহায়ের পাশে দাঁড়াতেন এবং ধৈর্যের প্রতীক ছিলেন। তিনি মন্দকে ভালো দিয়ে প্রতিহত করতেন, সদা হাসিমুখে ও উদার হৃদয়ে মানুষের সঙ্গে মিলিত হতেন।

হজরত হাসান (রা.) বলেছেন, নবীজি (সা.) ছিলেন হাস্যোজ্জ্বল, অমায়িক ও বিনয়ী। তিনি তিনটি জিনিস পরিহার করতেন—রিয়া বা আত্মপ্রকাশ, অতিরঞ্জন ও অনর্থক কাজ। মানুষের জন্যও তিনটি জিনিস পরিহার করতেন: নিন্দা না করা, দোষারোপ না করা এবং সওয়াবের প্রত্যাশা ছাড়া কোনো কথা না বলা।

প্রাণী ও মানুষের প্রতি সহমর্মিতা

মহানবী (সা.) প্রাণী ও মানুষের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন করতেন। মানুষের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনাতেন এবং শ্রোতাদের কথা শোনা ও বলা উভয়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতেন। তাঁর এই আচরণে অনেক শত্রুও ইসলাম গ্রহণ করেছিল।

সফল জীবনের পথনির্দেশ

মহানবী (সা.) জন্ম থেকে বার্ধক্য পর্যন্ত জীবনের সব পর্যায়ে মানবজীবনের করণীয় ও বর্জনীয় বিষয় নিখুঁতভাবে প্রদর্শন করেছেন। তাঁর আদর্শ অনুসরণ না করলে মুসলমানের ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তি সম্ভব নয়।

সমাপনী মন্তব্য

আজকের মুসলিম সমাজের ক্রমবর্ধমান চারিত্রিক অবক্ষয়, পারিবারিক ও সামাজিক জীর্ণতা দূর করতে মহানবীর (সা.) আদর্শই একমাত্র সমাধান। তাঁর আদর্শ অনুসরণে সমাজে ন্যায়, মমত্ববোধ ও সহমর্মিতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।


লেখক: মুফতি ইবরাহীম আল খলীল, সহকারী শিক্ষাসচিব, মাদ্রাসা আশরাফুল মাদারিস, তেজগাঁও, ঢাকা

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ নিউজ