মামলা নিয়ে প্রশ্ন করায় থানায় বাদীকে “লাথি-জাতাপেটা’’ সত্যতা পায়নি পুলিশের তদন্ত কমিটি

প্রকাশিত: ১০:১৯ অপরাহ্ণ, জুন ২৬, ২০২৫

মামলা নিয়ে প্রশ্ন করায় থানায় বাদীকে “লাথি-জাতাপেটা’’ সত্যতা পায়নি পুলিশের তদন্ত কমিটি

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মামুনার রশিদের বিরুদ্ধে মামলার বাদীকে ‘লাথি-জুতাপেটা’ করার অভিযোগ উঠলেও এর সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশের তদন্ত কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকালে কচাকাটা থানায় গিয়ে অভিযোগের তদন্ত করেন কমিটির সদস্যরা। পুলিশ সুপার (এসপি) মাহফুজুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে গতকাল বুধবার কচাকাটা থানার ভেতরে একটি পিটিশন মামলার বাদীকে লাথি মারা ও স্যান্ডেল দিয়ে পেটানোর অভিযোগ ওঠে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মামুনার রশিদের বিরুদ্ধে। তবে বাদীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটির কথা স্বীকার করলেও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন এসআই মামুনার রশিদ। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে ঘটনার তদন্তে কমিটি করে জেলা পুলিশ। আজ এসপিসহ পুলিশের একটি তদন্ত দল কচাকাটা থানায় গিয়ে বাদীসহ সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে।

পুলিশ জানায়, ভূরুঙ্গামারী-কচাকাটা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মাসুদ রানার নেতৃত্বে সিআইডি ইন্সপেক্টর (অপরাধ) মাসুদ রানা ও ডিএসবি ইনচার্জ আলমগীর হোসেনকে নিয়ে তদন্ত কমিটি করা হয়।

তদন্তে সাক্ষ্য দেন বাদী হোসেন আলী, তাঁর বড় ভাই হাছেন আলীসহ তাঁদের বাবা তফাজ্জল হোসেন। এ ছাড়া অভিযুক্ত এসআই মামুনার রশিদেরও বক্তব্য নেওয়া হয়। অভিযোগকারী হোসেনের অভিযোগের ভিত্তিতে থানার সংশ্লিষ্ট ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ যাচাই করে তদন্ত কমিটি।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল আলম বলেন, বাদীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থানার সংশ্লিষ্ট সিসি ক্যামেরার ফুটেজ যাচাই ও বিশ্লেষণ করেছেন তদন্ত কমিটি। অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। ওসি আরও বলেন, মূলত বাদীর করা মামলার প্রতিবেদন তাঁদের চাহিদা ও পছন্দমাফিক না হওয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বিব্রত করতেই এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

এসপি মাহফুজুর রহমান বলেন, বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি সাক্ষ্য-প্রমাণের পাশাপাশি থানার সিসিটিভির ফুটেজ যাচাই-বাছাই করেছে। ন্যূনতম সত্যতা পাওয়া যায়নি। তিনি সব পক্ষকে আরও বেশি দায়িত্বশীল আচরণ করার অনুরোধ জানান।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ নিউজ