মারা গেছেন রুবেল

প্রকাশিত: ১১:০৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৫, ২০২৫

মারা গেছেন রুবেল

চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন রুবেল আহমদ (২৪)। পৌরশহরে পরিচিতদের হাতে ছুরিকাঘাতে আহত রুবেল আহমদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল ৮টার দিকে মারা যান। নিহত রুবেল আহমদ জকিগঞ্জ পৌর এলাকার পশ্চিম আনন্দপুর গ্রামের সরব আলীর ছেলে।

 

 

এরআগে গত ১৬ মার্চ রাতে রুবেল আহমদ আহমদ তার পরিচিতদের ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি হন।

 

 

নিহত রুবেলের প্রতিবেশী কামরুল ইসলাম ডালিম মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানান, রুবেলকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় আহত রুবেল নিজে বাদী হয়ে থানায় ট্রলি চালক আব্দুল হান্নান ও পূর্ব মাইজকান্দি গ্রামের শান্ত আহমদকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে। পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করলেও জড়িত আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি।

 

 

জকিগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মো. সুজন মিয়া জানান, আসামি গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

 

 

জানা গেছে, গত রোববার ১৬ মার্চ রাত সাড়ে ১১ টার দিকে জকিগঞ্জ শহরের শফিক রেষ্টুরেন্টের কর্মচারী রুবেল আহমদকে তার পূর্ব পরিচিত পশ্চিম বিলেরবন্দ গ্রামের মৃত সৈয়ব আলীর ছেলে ট্রলি চালক আব্দুল হান্নান (৪২) ও পূর্ব মাইজকান্দি গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে মোরগ ব্যবসায়ী শান্ত আহমদ (২২) ডেকে নিয়ে যান পশ্চিম বিলেরবন্দ গ্রামের নির্জনস্থানে। সেখানে নেওয়ার পর রুবেলের সঙ্গে ট্রলিচালক আব্দুল হান্নান ও পূর্ব মাইজকান্দি গ্রামের শান্ত আহমদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শান্ত আহমদের নির্দেশে ট্রলিচালক আব্দুল হান্নান ধারালো ছুরি দিয়ে রুবেলের পেটের নিচে ছুরিকাঘাত করে তাকে গুরুতর জখম অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রেখে শান্ত আহমদসহ পালিয়ে যায়। পরে রুবেল পথচারীদের সহযোগিতায় জকিগঞ্জ হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে রুবেলের শরীরে কয়েকটি অস্ত্রোপাচার শেষে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল ৮ টার দিকে রুবেল শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করে।

 

 

 

এদিকে দায়েরকৃত মামলার এজাহারে ঘটনার বিবরণে রুবেল আহমদ উল্লেখ করেন, শান্ত আহমদের সঙ্গে সে চলাফেরা করতো। এবং শান্ত আহমদের সঙ্গে ট্রলি চালক আব্দুল হান্নানের সম্পর্কে রয়েছে। গত ১৬ মার্চ দুপুর ২ টার দিকে আব্দুল হান্নান রুবেলের কাছে ২ হাজার টাকা ধার চান। কিন্তু রুবেল রমজান মাসের খরচসহ ঈদের খরচের জন্য তাকে টাকা ধার দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। ঐ দিন রাত সাড়ে ১১ টার দিকে রুবেল জকিগঞ্জ বাজারে আসার পথে পূর্ব পরিচিত শান্ত আহমদ তাকে নিয়ে পশ্চিম বিলেরবন্দ গ্রামের ট্রলি চালক আব্দুল হান্নানের বাড়ীতে যাওয়ার কথা বলে। তখন রুবেল বিলেরবন্দ গ্রামের আব্দুল হান্নানের বাড়ীতে যাইতে অপারগতা প্রকাশ করলে আসামি শান্ত আহমদ তাকে জোরপূর্বক একটি রিক্সাতে উঠাইয়া বিলেরবন্দ সাকিনস্থ আব্দুল হান্নানের বাড়ীর সামনের রাস্তায় নিয়ে যায়। ওই সময় আব্দুল হান্নান রুবেল আহমদকে দেখিয়া টাকা ধার না দেওয়ার জের ধরে অশালীন অকথ্য ভাষা ব্যবহার করে। একইভাবে শান্ত আহমদও গালিগালাজ করে রুবেলকে। তখন হোটেল কর্মচারী রুবেল আহমদ গালিগালাজের প্রতিবাদ করলে শান্ত আহমদের হুকুমে বিবাদী আব্দুল হান্নান ধারালো চাকু দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে রুবেলের পেটে ছুরিকাঘাত করে এবং এলোপাথারী কিলঘুষি লাথি মেরে গুরুতর জখম করে তাকে রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে পথচারীদের সহযোগিতায় রুবেল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি হন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ নিউজ