মিথ্যা মামলার হয়রানি থেকে প্রতিকার চায় প্রবাসী পরিবার

প্রকাশিত: ৭:০৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ৬, ২০২৫

মিথ্যা মামলার হয়রানি থেকে প্রতিকার চায় প্রবাসী পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক :

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের পশ্চিম বটুলী গ্রামের এক প্রবাসী পরিবারের ৬ সদস্যের বিরুদ্বে একাধিক মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে সুবিচার চেয়ে বলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক প্রবাসীর পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন প্রবাসী মঈন উদ্দিন।

 

 

গত বুধবার ( ৫ মার্চ) সন্ধ্যায় প্রবাসী মঈন উদ্দিনের নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন,‘একই গ্রামের আব্দুল মালিক ও তার দুই ছেলে সন্ত্রাসী প্রকৃতির মানুষ। এলাকায় তাদের অত্যাচারে মানুষজন অতিষ্ট। তাদের দাপটে মানুষজন চরম আতংকের মধ্যে বসবাস করতে হচ্ছে। জুলুমবাজ আব্দুল মালিক ও তার ছেলে আব্দুস শহীদ(২৮) জাকির হোসেন(২২) সম্প্রতি আমাদের রান্নাঘরের পার্শে^ টয়লেটের ট্যাংকি নির্মান করে।

 

 

 

 

 

কাঁচা এই টয়লেটের ট্রাংকির র্দুগন্ধে আমাদের রান্না ঘরে রান্না করা থেকে শুরু করে বসবাস করা দুসাধ্য হয়ে পড়েছে। বিষয়টি ফুলতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম শেলু এবং পঞ্চায়েতের মুরব্বিগনকে জানালে তারা একটি শালিস বৈঠক করেন। শালিস বৈঠকে চেয়ারম্যান ও পঞ্চায়েতের মুরব্বিগন টয়লেটের ট্রাংকিটি সরানোর জন্য আব্দুল মালিককে বলেন। আব্দুল মালিক শালিস বৈঠকের সিদ্বান্ত মানলেও অনেক দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও তিনি টয়লেটের কাঁচা ট্রাংকিটি সরাননি। উল্টো এ বিষয়ে কথা বললে মইন উদ্দিনের পরিবারকে বিভিন্নভাবে নাজেহালের চেষ্টা করেন।’ প্রবাসী মইন উদ্দিন আরও বলেন,‘ জুলুমবাজ আব্দুল মালিক ও তার দুই পুত্র আমার মালিকানাধীন বাঁশ কেটে নিয়ে যেতে চাইলে তাতে বাধা দিলে সন্ত্রাসী আব্দুস শহীদ ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাকে আমার মাথার তালুতে ২ টি কুপ মারে।

 

 

 

 

 

 

এবং শহীদের ছোটভাই সন্ত্রাসী জাকির হোসেন আমার মাথায় ছেদ দিলে আমার মাথায় ৮ টি সেলাই প্রয়োজন হয়। এবং নাকে আঘাত করলে সেখানেও ৪ সেলাই লাগে। তখন আমার চিৎকারে আমার পিতা বৃদ্ধ মখলিছ আলী((৭০) ,মাতা হাফিজুন্নেছা ও স্ত্রী রাহেলা আক্তার এগিয়ে এসে আমাকে সন্ত্রাসীদের কবল থেকে রক্ষার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা আমার বৃদ্ধ পিতাকে ও স্ত্রীকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারাতœক জখম করে।

 

 

 

 

আমার পিতার মাথায় ৩ টি কুপ মারে তাতে ৯ টি সেলাই লাগে। হাতে কুপ দিলে তাতে ৪ টি সেলাই লাগে। আমার স্ত্রীকে মারধর করে এবং আমার মাতাকেও মারধর করে জখম করে।আমি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশে থানায় মামলা দিলে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে একের পর এক আমি আমার পরিবারের ৬ সদসৌর বিরুদ্ধে থানা ও কোর্টে ৩ টি মিথ্যে মামলা দিয়ে আমাদেরকে হয়রানি করছে। আমাদের বিরুদ্ধে ছিনতাই,ডাকাতির মতো গুরুতর অপরাদের সাথে জড়ানোর অপ্রচেষ্টায়মিথ্যে মামলা দিচ্ছে। আমরা এই অন্যায় জুলুমবাজের বিচার চাই। ’

 

 

 

 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত পশ্চিম বটুলী পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি রকিব উদ্দিন,ফুলতলা বস্তি পঞ্চায়েতের মুরব্বি আং রহমান,মুরব্বি মোক্তাদির,মুরব্বি আজিজুর রহমান,রজব আলী,লিয়াকত আলী জানান, আব্দুল মালিক,তার স্ত্রী ও পুত্ররা পঞ্চায়েতের মুরব্বি তথা চেয়ারম্যান মেম্বারদের কথা না শুনে সম্পূর্ন গায়ের জোরে মঈন উদ্দিনের পরিবারের সাথে অন্যায় করে যাচ্ছে।

 

 

 

টয়লেটের ট্রাংকিটিও বসিয়েছে মঈন উদ্দিনের রান্নাঘরের একেবারে পাশে^। এর পরে জোরর্পূবক বাঁশ কেটে নিয়ে গেছে। এমনকি মঈন উদ্দিনের ভাই,পিতা মাতাও স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রক্তাত্ত করেছে। নিরীহ মঈন উদ্দিনের পরিবারের ৬ সদস্যের বিরুদ্বে উল্টো ৩ টি মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আমরা ২ পঞ্চায়েতের মানুষজন শান্তি চাই এবং আব্দুল মালিকের বিচার চাই।

 

 

 

এব্যাপারে ফুলতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম সেলু জানান,আব্দুল মালিক পক্ষ বাথরুমের ট্রাংকি বসানোর ফলে মইন উদ্দিন গংরা আপত্তি করেছেন। এবং মইন উদ্দিনের পক্ষের লোকজন ট্রাংকির পাইপ কেটে ফেলেছেন এধরনের অভিযোগ পেয়ে দ’ুপক্ষকে নিয়ে শালিস বৈঠক করেছি। কিন্তু আব্দুল মালিক পক্ষের অসযোগীতায় বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে পারিনি। এবং হামলার ঘটনাও ঘটেছে। উভয় পক্ষও মামলা মোকদ্দমা রয়েছে

সর্বশেষ নিউজ