
ঢাকা (২০ ডিসেম্বর): বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণকে জিম্মি করে কিছু রাজনৈতিক দল পানি ঘোলা করার চেষ্টা করছে, যাতে তারা নিজেদের ফায়দা লুটতে পারে। তিনি আরও বলেন, “আমাদের খেয়াল রাখতে হবে, এসব ষড়যন্ত্র যাতে সফল না হয়।”
আজ শনিবার, রাজধানীর গোপীবাগে এক কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন। সভাটি আয়োজিত হয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি-এর পক্ষ থেকে, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে।
মির্জা আব্বাস বলেন, “একাত্তরে স্বাধীনতার অর্জন আর চব্বিশে কথা বলার অধিকার এই দেশের জনগণ রক্ত দিয়ে আদায় করেছে। কিন্তু আজকে সেই অধিকারকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।” তিনি দাবি করেন, দেশ অস্থিতিশীল করতে একটি সাজানো ছকে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে, যা তার মতে, ঢাকা শহরে কোনোভাবেই হতে দেওয়া হবে না। “আমরা যারা দেশের শান্তি চাই, তাদের অবশ্যই প্রতিহত করতে হবে,” বলেন তিনি।
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, “যতটুকু বিরোধিতা করতে হবে, নির্বাচন হবে এবং হবে এই দেশের মানুষকে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হবে।” তিনি সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “যে শক্তি গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে কাজ করছে, তাদের অগণতান্ত্রিক শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে।” তিনি সরকারের দুর্বলতার কথা তুলে ধরে বলেন, “সরকার দেশবিরোধী চক্রের সাথে হাত মিলিয়ে দেশের শান্তি নষ্ট করছে।”
তারেক রহমানের দেশে আসার প্রস্তুতি সম্পর্কে মির্জা আব্বাস বলেন, “আমাদের নেতা দেশে আসছেন, মানে গণতন্ত্র দেশে ফেরত আসছে। সে সময় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই, উনি গণতন্ত্র নিয়ে আসছেন।”
তিনি আরও বলেন, “দেশের যারা ভালো চায় না, তারা মানুষরূপী শয়তান। তারা '৪৭ সালে পাকিস্তানের বিরোধিতা করেছিল, '৭১ সালে বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছিল। এখনো তারা দেশকে ভালোবাসে না।"
মির্জা আব্বাস বলেছেন, “গণতন্ত্রের সামনে অগণতান্ত্রিক শক্তি টিকে থাকতে পারবে না। যারা ষড়যন্ত্র করছেন, সাবধান হয়ে যান, এ দেশের মানুষ আপনাদের সম্পর্কে জানে।”
সরকারের ভূমিকা সমালোচনার পাশাপাশি মির্জা আব্বাস বিএনপির পক্ষ থেকে দেশের নিরাপত্তা বাহিনী ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কার্যক্রমেরও সমালোচনা করেছেন, এবং প্রশ্ন করেছেন, “এত ঘটনাগুলোর পরও গ্রেপ্তার কোথায়? আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকেরা কোথায়?” তিনি সরকারকে একাধিকবার সহযোগিতার হাত বাড়ানোর পরও তার প্রতিক্রিয়া দেখার কথা জানান।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিন-এর সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় ঢাকা-৫ আসনের প্রার্থী নবী উল্লাহ নবী, ৬ আসনের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, ৭ আসনের প্রার্থী হামিদুর রহমান হামিদ, ৯ আসনের প্রার্থী হাবিবুর রশিদ হাবিব, এবং ঢাকা-১০ আসনের প্রার্থী শেখ রবিউল আলম সহ আরও অনেক নেতা বক্তব্য দেন।