কমলগঞ্জ টু কুরমা রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরছে । অনেকদিন থেকেই রাস্তাটি সংস্কার কাজ হচ্ছে না। গত বন্যায় রাস্তাটির অবস্থা আরো খারাপ হয় এবং ছোট বড় অনেক গর্তের সৃষ্টি হয়। ছোট গর্তগুলোও সময়ের ব্যাবধানে বড় গর্তে পরিনত হতে থাকে।

এ রাস্তাটি কমলগঞ্জের ঠিক মাঝ বরাবর বয়ে যাওয়ায় এর গুরুত্ব অনেক। কমলগঞ্জের নয়টি ইউনিয়নের বাসিন্দাসহ অনেক দেশী বিদেশি পর্যটকও এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন। দেশের গুরুত্বপূর্ণ পাহাড়ি সম্পদ ও গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি পন্য চা, মনুপরী তাঁত এ রাস্তাদিয়েই পারাপার হয়।

বিভিন্ন স্কুল, কলেজ,মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থী এ রাস্তাদিয়ে যাতায়াত করার সময় অনেক দুর্ভোগে পরতে হয়।

জেলা শহরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তাটির এ বেহাল দশায় রোগীদের দূর্ভোগের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

কমলগঞ্জে বিভিন্ন পর্যটন স্পট(মাধবপুর লেক,হামহাম ঝর্ণা,দূর্বীন টিলা,খাসিয়া পুঞ্জি,ললিতকলা একাডেমি ,লাউয়াছড়া,বীর শ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ) থাকায় বিভিন্ন দেশী বিদেশি পর্যটকের ভীড় থাকে প্রতি নিয়ত তাদের কষ্টের সীমা অতিক্রম করে।

কমলগঞ্জের বৃহত্তর বাজার আদমপুর বাজার। উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ ছাড়াও জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতা-বিক্রেতার আগমন ঘটে এ বাজারে।কিন্তু রাস্তার এ করুণ পরিনতিতে মানুষের কষ্টের সীমা থাকে না।

এ উপজেলাটি সীমান্তবর্তী হওয়ায় এখানে প্রায় আটটি বিজিবি ক্যাম্প, পুলিশ ক্যাম্প এবং বন বীটের সদস্যসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সৈনিকরা যারা দেশের ক্রান্তিলগ্নে দেশকে বুক পাতিয়ে রক্ষা করেন তারাও এ রাস্তাদিয়ে চলাচল করেন।

এ ভঙ্গুর রাস্তার কারণে প্রতিনিয়ত মানুষজন দূর্ঘনার কবলে পরছে।

রাস্তাটি নিয়ে নামিদামি বিভিন্ন টিবি চ্যানেল,পত্র পত্রিকায় প্রতিবেদন গেলেও এর কোন সমাধান হচ্ছে না।

এমতাবস্থায় জরুরি বিক্তিতে রাস্তাটি মেরামতের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনসহ সকলের নিকঠ আকুল আবেদন।