মৌলভীবাজারে দেশি ধানের চাষ কমছে, উফশী ও হাইব্রিড ধানে আগ্রহ বাড়ছে

প্রকাশিত: ৭:৩৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৫

মৌলভীবাজারে দেশি ধানের চাষ কমছে, উফশী ও হাইব্রিড ধানে আগ্রহ বাড়ছে

মৌলভীবাজার জেলায় হাওর, জলাভূমি ও কৃষিজমিতে ধানচাষ চললেও দেশি স্থানীয় জাতের ধানের চাষে আগ্রহ কমেছে। চলতি মৌসুমে আমন, বোরো ও আউশ ধানে সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে উচ্চফলনশীল (উফশী) ও হাইব্রিড ধান, তবে এ ধরনের ধানে জমির উর্বরতা কমছে।

জেলার কৃষকেরা জানান, এক দশক আগে দেশি ধানের চাষ বেশি হতো। দেশি ধানের স্বাদ ও পুষ্টিগুণ ভালো হলেও খরচ বেশি হওয়ায় এবং ফলন কম হওয়ায় তারা উচ্চফলনশীল ও হাইব্রিড ধানের দিকে ঝুঁকেছেন। উদাহরণস্বরূপ, আবহাওয়া অনুকূলে দেশি ধান প্রতি একর ৪০–৪৫ মণ ফলন দেয়, কিন্তু হাইব্রিড ধান ৮০–১০০ মণ ফলন দেয়।

মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও খাদ্য চাহিদা মেটানোর জন্য জেলায় বেশি উৎপাদনশীল উচ্চফলনশীল ধান চাষে কৃষকেরা আগ্রহী।

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নূর হোসেন মিয়া বলেন, দেশীয় ধান এখন প্রায় বিলুপ্ত। দেশের মধ্যে যথাযথ সংরক্ষণ ও গবেষণা না থাকায় দেশি ধানের বিভিন্ন জাত হারিয়ে যাচ্ছে। বিদেশে যেমন জার্মানির জার্মপ্লাজম সেন্টারে দেশি ধান সংরক্ষণ ও গবেষণা করা হয়, তেমন ব্যবস্থা বাংলাদেশে নেই। তবে দেশীয় ধানের পুষ্টি ও স্বাদ অনেক বেশি এবং জলবায়ুর সঙ্গে টিকে থাকতে সক্ষম।

তিনি আরও বলেন, উচ্চফলনশীল ও হাইব্রিড ধানের উৎপাদন দ্বিগুণ হওয়ায় কৃষকেরা লাভবান হলেও, দেশি ধানের সংরক্ষণ ও গবেষণা না থাকায় ভবিষ্যতে দেশের ঐতিহ্যবাহী জাত হারানোর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ নিউজ