
যমুনা সেতুর বর্তমান রেললাইনের ডেক সংস্কার ও একটি নতুন অ্যানেক্স সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ও আইইউটি-ডেভকন জেভির মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ চুক্তির ফলে সেতুর যানজট উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। চুক্তির আওতায় উভয় পক্ষের মধ্যে ১৪ কোটি ২৯ লাখ ৮৫ হাজার ৪০৫ টাকা ৪১ পয়সার আর্থিক সমঝোতা হয়।
চুক্তির অধীনে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানটি সেতুর ডেক সংস্কার ও সংশ্লিষ্ট কাজে কারিগরি সহায়তা দেবে। বর্তমানে সেতুর ৬ দশমিক ৩১৫ মিটার প্রশস্ত দুই লেনের একমুখী ট্রাফিককে ৭ দশমিক ৩০ মিটার প্রশস্ত একমুখী ট্রাফিকে রূপান্তরিত করা হবে। এতে সেতু আরও কার্যকর ও নিরাপদ হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ। তিনি বলেন, “সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের নির্দেশনা রয়েছে যেন দ্রুত এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করে জনগণের দুর্ভোগ কমানো হয়।”
তিনি আরও জানান, দেশের ক্রমবর্ধমান যানবাহনের চাপ মোকাবিলা ও পূর্বাঞ্চল-পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে উন্নত যোগাযোগ নিশ্চিত করতে যমুনা সেতুর পাশে একটি নতুন অ্যানেক্স সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন করা হবে। এতে নতুন সেতুর স্থান, কারিগরি চ্যালেঞ্জ, অর্থনৈতিক প্রভাব ও পরিবেশগত দিকগুলো গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা হবে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষে প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদাউস এবং আইইউটি-ডেভকন জেভির পক্ষে অধ্যাপক ড. শাকিল মোহাম্মদ রিফাত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে উভয় পক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।