যুবদল নেতা মো. আরিফ সিকদার হত্যা মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের মেয়ে খাদিজা ইয়াসমিন বীথিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়েছে। মঙ্গলবার (আজ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসিবুজ্জামান তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) খাদিজাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. মাজহারুল ইসলাম তাঁর সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। তবে মামলার মূল নথি আদালতে না থাকায় ম্যাজিস্ট্রেট রিমান্ড শুনানি না করে খাদিজাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী বৃহস্পতিবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে সেদিন কারাগার থেকে তাঁকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তদন্ত কর্মকর্তাকেও আদালতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেন আদালত।
হাতিরঝিল থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) এসআই আরিফ রেজা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গতকাল সোমবার কুমিল্লা জেলা কারাগারের সামনে থেকে খাদিজা ইয়াসমিন বীথিকে আটক করা হয়।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী এবং তাঁর মেয়ে খাদিজা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের উদ্দেশ্যে সক্রিয় ছিলেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পরবর্তী পরিস্থিতিতে তাঁরা মগবাজার ও হাতিরঝিল এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালান। ওই সময় খাদিজা ও তাঁর পিতা যুবদল নেতা আরিফ সিকদারকে প্রতিপক্ষ হিসেবে চিহ্নিত করেন। সুব্রত বাইন ও খাদিজার প্রত্যক্ষ প্ররোচনা ও পরিকল্পনায় আরিফ সিকদারকে হত্যা করা হয়েছে বলে তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় খাদিজার সম্পৃক্ততা যাচাইয়ে তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর হাতিরঝিল থানার নয়াটোলা মোড়ল গলির ‘দি ঝিল ক্যাফে’র সামনে যুবদল নেতা মো. আরিফ সিকদারকে গুলি করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ এপ্রিল তিনি মারা যান।
নিহত আরিফ সিকদার ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সহক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন।
এ ঘটনায় আরিফের বোন রিমা আক্তার বাদী হয়ে সুব্রত বাইনের সহযোগী মাহফুজুর রহমান বিপুসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। পরে আরিফের মৃত্যু হলে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হয়। এর আগে এ মামলায় সুব্রত বাইনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।