
অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী (এম এল এস এস) মো. দেলোয়ার সিকদারকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪–এর বিচারক মো. রবিউল আলম এই রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত দেলোয়ার চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার কাদিরখিল গ্রামের মৃত আব্দুল গফুর আলী সিকদারের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ সাজা পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান রানা।
আদালত সূত্রে জানা যায়, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪–এর ২৬(২) ধারায় আসামিকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং একই আইনের ২৭(১) ধারায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। দুই ধারার সাজা একই সঙ্গে চলায় আসামিকে পাঁচ বছর কারাভোগ করতে হবে।
একই সঙ্গে আসামির জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ও অবৈধভাবে অর্জিত ৫২ লাখ ৯৬ হাজার ২৫০ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার সূত্রে জানা যায়, রাজউক কর্মচারী দেলোয়ার সিকদারের বিরুদ্ধে ৫২ লাখ ৯৬ হাজার ২৫০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ৭ মে মামলা করে দুদক। সংস্থাটির উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা মডেল থানায় এ মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের ২২ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক খন্দকার নিলুফা জাহান।
২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু করেন আদালত। বিচার চলাকালে ১০ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।