রাজধানী ঢাকার প্রতারক চক্রের মূল হোতা কে এই মেছ মাউল আলম মোহন,,

প্রকাশিত: ৮:১২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৮, ২০২২

রাজধানী ঢাকার প্রতারক চক্রের মূল হোতা কে এই মেছ মাউল আলম মোহন

নিজস্ব প্রতিনিধঃ- 
দেশের শীর্ষ প্রতারক চক্রের চেয়ারম্যান “আমাদের মাতৃভূমি” পত্রিকার ভূয়া সম্পাদক মেছ মাউল আলম মোহন ২০২১ সালে ছিলেন ঢাকার দৈনিক কয়েকটি পত্রিকার প্রতিনিধি বিভিন্ন চাঁদাবাজি ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডের কারণে ওই পত্রিকা গুলো থেকে বহিষ্কার করে।

গত ১৭ই ডিসেম্বর স্যাটেলাইট টেলিভিশন মাই টিভির অনুসন্ধান টিমের করা একটি ২০ মিনিটের প্রতিবেদনে সম্পূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসে এই ভুঁইফোড় গণ্ডমূর্খ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাবিবুল্লা বার হলের প্রধান প্রিন্সিপাল শীর্ষ প্রতারক চক্রের চেয়ারম্যান দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি পত্রিকার নামধারী ভূয়া সম্পাদক ও প্রকাশক মেছ মাউল আলম মোহন যার শিক্ষাগত যোগ্যতার কোন সার্টিফিকেট নেই বলতে পারে না সে কোন স্কুল থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাস করেছে।

 

কিছুদিন পর দেখা যায় ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও স্পা সেন্টার থেকে চাঁদাবাজি করে হাতিয়ে নেয় মাসে কোটি টাকা, যে মানুষটির দিন আনতে পান্তা ফুরায়তো ছিলনা তার আয়ের উৎস,গত ০৬/০৮/২০২১ সালে তার স্ত্রীর চিকিৎসা টাকা যোগানোর জন্য সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার কামরুল ইসলাম নামের এক যুবকের কাছ থেকে এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি করিয়ে দেওয়ার নামে নিয়েছিল বিশ হাজার টাকা প্রতারণা করে।

 

জাফলংয়ে পাথর ব্যবসায়ী আলিম উদ্দিনের ১ লক্ষ টাকা মামলা থেকে অব্যাহতি দিবে বলে নেয়। সে কি করে হঠাৎ হয়ে যায় কোটি টাকার মালিক, তার নেই কোন উচ্চশিক্ষা হয়েছে দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি পত্রিকার ভুয়া সম্পাদক গাড়িতে লগো লাগিয়ে দাপিয়ে বেড়ায় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে,এই সাংবাদিকতার ফাঁদ তৈরি করে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে-মেয়েদের সাংবাদিকতার মিথ্যা পনোলোভ দেখিয়ে করে যাচ্ছে আইডি কার্ড ও ভিক্ষুক বাণিজ্য হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ টাকা।

পত্রিকার আইডি কার্ড দেওয়ার কথা বলে প্রতারাণা করে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার নারী ও পুরুষের কাছ থেকে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছে ৫০ লাখ টাকার ও বেশি প্রতারক মোহনে সিলেট বিভাগসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অভিযোগ উঠেছে এবং সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার এক পাথর ব্যবসায়ী নাজমুল এর কাছ থেকে ডিবি পুলিশ অফিসার দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে ৩০ হাজার টাকা।

 

তার অফিস সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে আনোয়ার হোসেন ও পুরানা পল্টনের বিরানী বিক্রেতা ছেলের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে ১ লক্ষ টাকা, এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীরা জানতে পারেন তার গ্রামের বাড়ি ফরিদগঞ্জে এসব টাকা দিয়ে জমি রেখে চাষাবাদ ও বাড়ি করবেন।

সেই প্রতারক মেছ মাউল আলম মোহন কে ভুক্তভোগীরা টাকার জন্য চাপ দিলে সে সবাইকে মামলা হামলা ও ডিবি পুলিশের ভয় দেখিয়ে এড়িয়ে যায়।

এই প্রতারক মেছ মাউল আলম মোহন গত বছরে উত্তর বাড্ডার আলীর মোড় বায়তুল ছালাম জামে মসজিদের ফরিদগঞ্জের জালাল উদ্দিন সিআইপির দেওয়া অনুদানের দুই লক্ষ টাকা মেরে দেয় পরে বিষয়টি মসজিদ কমিটি জানতে পেরে প্রতারক মোহন ও তার শশুরকে মসজিদ কমিটি আটকে রাখে এবং তরুণ কন্ঠের সম্পাদক ও এশিয়ান টিভির সিনিয়র সাংবাদিক সোহাগ সহ গিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনে মসজিদ কমিটি থেকে।

 

এবং তার আপন শ্বশুর শাশুড়িকে অসহায় গরীব মানুষের পরিচয় দিয়ে জোনাকডাকি এবং জালাল উদ্দিন সিআইপি’র
কাছে থেকে হারিয়ে নেয় তিন লক্ষ টাকা ও শাহজাদপুর উত্তর বাড্ডার এলাকার কাউন্সিলরদের কাছ থেকে অসহায় পরিচয় দিয়ে হাতিয়ে নিছে দুই লক্ষ টাকা।

 

সূত্রে জানা যায় এ সকল টাকা নিয়ে শ্বশুর-শাশুড়ি তার ছেলেদের দিয়ে একটি বিশাল আকারে মোবাইল দোকান দেন ছেলেদের।

তার এসব প্রতারণার শিকার হয়ে তার সহকারি সম্পাদক যারা আছে তাদের স্বর্ণপর্ণ হয় ভুক্তভোগীরা কিন্তু এতেও কোন সাড়া না পেয়ে ঢাকা এক গোয়েন্দা সংস্থার অফিসার কে জানায় কিন্তু সে অফিসার প্রতারক মোহনের তথ্য জানার জন্য তার অফিসে গেলে সাইনবোর্ড খোলা পায় ও তার বাসা আগের জায়গায় নাই, কিছুদিন পর আবারো বাটপারি সাইনবোর্ড লাগিয়ে প্রতিনিধি বিজ্ঞাপন দিয়ে যাচ্ছে।

 

সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে তার আসল রহস্য এই আয়ের উৎস কোথায় মোহনের রয়েছে ঢাকায় এক বিশাল অপরাধ জগতের সিন্ডিকেট ওই সিন্ডিকেট দ্বারা চলছে ভিক্ষা বাণিজ্য, ও রমরমা সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে শিল্পপতিদের ব্ল্যাকমেল করার বাণিজ্যর অভিযোগ,যে সকল এলাকাগুলোতে প্রতারণা ফাঁদ তৈরি করে সুন্দরী মেয়ে দিয়ে,ওই সকল স্থানের নাম, উত্তরা,রামপুরা, গুলশান,নানী ,গাবতলী, গুলিস্তান, শাহজাদপুর , ভাটারা থানা এলাকায় রয়েছে বিশাল প্রতারণার ফাঁদ।

 

সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে আরব বেরিয়ে আসে অনেক রহস্য ঢাকা শহরের বিভিন্ন আবাসিক হোটেল এবং ইস্পা সেন্টারগুলোতে গিয়ে শুধু মোহনের নাম বলবেন ঐ সকল মালিকগণ কি বলে তখন আপনারা জানতে পারবেন যে আসলে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ ধরনের প্রতারক আর কোথাও নাই যার পেশাটাই হচ্ছে প্রতিনিয়ত মানুষের সাথে প্রতারণা করা এবং ভয় ভীতি দেখানো এসব অপরাধ করে মহান রাতি কোটিপতি।

 

বনানী প্রেসক্লাবের পাশে হোটেল সুইট ডিমে আসা যাওয়া ছিল সিসি ক্যামেরা ফুটেজ নিয়ে দেখতে পারেন এই মোহনের আসল চরিত্র সে আসলে কি। ফরিদগঞ্জের স্থানীয় সাংবাদিকদের সূত্রে জানতে পারি প্রতারক মোহনের পূর্বের ইতিহাস এই মোহনের নামে রয়েছে নোয়াখালীর লক্ষ্মীপুর জেলায় প্রতারণার মামলা নিজ জেলা ফরিদগঞ্জে রয়েছে প্রথম স্ত্রী হত্যা মামলা এবং সৌদি আরব নেওয়ার কথা বলে স্থানীয় কয়েকশো যুবকের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে এক কোটিরও বেশি টাকা এবং দীর্ঘ সাত থেকে আট বছর এলাকায় ছাড়া এলাকার লোক খুঁজছে এ প্রতারক মোহন কে।

 

পরবর্তীতে গোয়েন্দা অফিসার তার পূর্বের কর্মস্থল দৈনিক পত্রিকা গুলোর অফিসে গিয়ে প্রতারক মোহন সম্পর্কে জানতে চায় কিন্তু ওই সকল দৈনিক পত্রিকা সম্পাদকগণ গোয়েন্দা অফিসার কে বলেন সে আমাদের পত্রিকা গত এক বছর আগে ছেড়ে চলে গেছে তার সাথে আমাদের কোন যোগাযোগ নাই।

এবং মৌসুমী আক্তার মীম নামে এক সাংবাদিক মহিলাকে অনুসন্ধানী কাজের কথা বলে তার দুই সহকারী কে নিয়ে গুলশান ঝিলপাড়ে নিয়ে সহবাস করার জন্য কুপ্রস্তাব দেয় ওই মহিলা কোন রকম মেছ মাউল আলম মোহনের হাত থেকে বাহানা দেখিয়ে যৌনতা থেকে রক্ষা পায়।

জনসাধারণের একটাই দাবি এই প্রতারক চক্রের প্রধান সহ সবাইকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক এরা দেশ ও জাতির শত্রু।

পরবর্তী নিউজে আরো অনেক তথ্য সহকারে প্রকাশ করা হবে,,,

সূত্র, ৭১ ভিশন

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ নিউজ