রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মাঈন উদ্দিনসহ তিন শিক্ষক-কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের ছাত্রত্ব বাতিলের দাবি তুলেছেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, এই শিক্ষার্থীরা কীভাবে এখনো আসন্ন রাকসু নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
আজ সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তারা এ দাবি জানান। বক্তারা অভিযুক্তদের ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে বলেন, বর্তমান শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কিছু সাবেক শিক্ষার্থীকেও এ ঘটনায় জড়িত দেখা যাচ্ছে। তাই হামলায় জড়িতদের ছাত্রত্ব এবং সাবেক শিক্ষার্থীদের সনদ বাতিল করতে হবে।
জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল হাসান খান মুক্তা বলেন, “যারা শিক্ষকের গায়ে হাত তোলে, তারা ছাত্র নয়, তারা সন্ত্রাসী। অথচ তাদের কয়েকজন আবার রাকসু নির্বাচনের প্রার্থী। প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের পরও তারা কীভাবে নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারে? অবিলম্বে তাদের প্রার্থিতা ও ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের কোনো নিরাপত্তা নেই। তাহলে আমরা ২৫ তারিখে রাকসু নির্বাচন করব কীভাবে? যেকোনো সময় তারা আমাদের ওপর হামলা করতে পারে। আগে এসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।”
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স সমিতির সভাপতি মুক্তার হোসেন। এতে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেন।