১৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৭শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

র‍্যাব, ডিবি, ডিজিএফআইয়ের বিলুপ্তি বা পুনর্গঠনের দাবি

admin
প্রকাশিত ২১ জুন, শনিবার, ২০২৫ ২৩:২৫:৫৫
র‍্যাব, ডিবি, ডিজিএফআইয়ের বিলুপ্তি বা পুনর্গঠনের দাবি

Manual2 Ad Code

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই) বিলুপ্তি অথবা পুনর্গঠনসহ ৯টি দাবি জানিয়েছেন বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) ভুক্তভোগীরা।

আজ শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ: কালো আইনমুক্ত বাংলাদেশ কত দূর?’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ দাবি জানান তাঁরা। ডিএসএ ভিকটিম নেটওয়ার্ক এবং ভয়েস ফর রিফর্ম এই সভার আয়োজন করে।

ভয়েস ফর রিফর্মের সংগঠক ফাহিম মাশরুরের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার প্রমুখ।

Manual5 Ad Code

সভায় লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান ডিএসএ ভিকটিম নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক দিদারুল ভূঁইয়া।

Manual4 Ad Code

মৌলিক কয়েকটি ত্রুটি সত্ত্বেও সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫-কে একটি ইতিবাচক অগ্রগতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ সংশোধনের পাশাপাশি আমাদের কিছু দাবি রয়েছে। বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার এড়াতে অনলাইনে তাৎক্ষণিক ওয়ারেন্ট ইস্যুর ব্যবস্থা করা; ভুক্তভোগীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ; কারাগারে হত্যাকাণ্ডের শিকার মুশতাক আহমেদের শহীদ স্বীকৃতি এবং মুশতাকসহ অন্যদের বিচার ও ক্ষতিপূরণ; পর্নোগ্রাফি, হ্যাকিং, জুয়া ইত্যাদি অপরাধের জন্য ভিন্ন আইন প্রণয়ন; র‍্যাব, ডিবি, ডিজিএফআইয়ের বিলুপ্তি অথবা অন্তত পুনর্গঠন; জনমত যাচাই ব্যতীত সরকারের আইন বানানোর একচ্ছত্র ক্ষমতা কাঠামোর সংস্কার করা দরকার।’

সভায় সাইবার সুরক্ষা আইনের প্রসঙ্গ টেনে হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘আইন মন্ত্রণালয় সম্প্রতি সাইবার সুরক্ষা আইনের যে খসড়া এনেছে, সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি এসেছে। তারা স্বীকার করেছে, ২০২৩ সালের আইনটি নাগরিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে অপপ্রয়োগ ও নিপীড়নের সুযোগ তৈরি করেছিল এবং তা মৌলিক অধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী ছিল। এই স্বীকৃতির জন্য আইন মন্ত্রণালয়কে অভিনন্দন জানাতে চাই।’

সরকারের যে আইনগুলো এখন জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হচ্ছে, তার একটি বিশেষ ক্ষমতা আইন বলে এ সময় মন্তব্য করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের এই নেতা।

ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘আমরা যে সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে কথা বলছি, তার প্রতিটি ধারা যেন ইনসাফ প্রতিষ্ঠার সুযোগ দেয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। আইনটিতে একটি সাধারণ ধারা থাকা উচিত যেখানে বলা হবে, এই আইন প্রয়োগের ফলে যেন কোনো নাগরিকের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত না হয়, যেন বেআইনি ও অন্যায্য কোনো রাষ্ট্রীয় আচরণের শিকার না হতে হয়।

Manual6 Ad Code

‘এই ধারা থাকবে মূল প্রতিরক্ষা হিসেবে। যখন কোনো নাগরিক অন্যায়ভাবে অভিযুক্ত হবেন বা আটকে দেওয়া হবে, তখন এই ধারা তার অধিকার রক্ষার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।’

Manual3 Ad Code

ভয়েস ফর রিফর্মের সংগঠক ফাহিম মাশরুর বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন অনেক বিদেশি নজরদারি সফটওয়্যার, বিশেষত ইসরায়েলের পণ্য ব্যবহার হচ্ছে। যারা আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্বে আছেন, তাদের ফোনে এসব সফটওয়্যার ব্যবহার হচ্ছে বলেই আমাদের সন্দেহ।

‘বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ আইনে বলা আছে, রাষ্ট্র যদি বৈধ উপায়ে কোনো টেলিফোন যোগাযোগ মনিটর করে, তাহলে সেটা আইনি সীমার মধ্যে পড়ে। কিন্তু যদি সেই মনিটরিং হয় বিদেশি পেগাসাস জাতীয় ম্যালওয়্যার দিয়ে, যেখানে একজন ব্যক্তির মোবাইলে অজ্ঞাতে নজরদারি বসানো হয়—তখন কি সেটা অপরাধ নয়?’