চরকালকিনি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের (ইউপি) সদস্য আবুল বাশার বলেন, ‘জোয়ারের পানি ও অতিবৃষ্টির কারণে আমাদের ইউনিয়নের সব এলাকা পানির নিচে। বর্তমানে সাধারণ মানুষ গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে রয়েছেন। এভাবে চলতে থাকলে মানুষেরও খাদ্যসংকট দেখা দিতে পারে।’
কমলনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইউছুফ আলী মিঠু বলেন, বেড়িবাঁধের কাজের ধীরগতির কারণে বর্ষা মৌসুমে লোকালয়ে অতি দ্রুত পানি ঢুকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এবং কমলনগরের সবকটি খাল অবৈধ দখলে। দীর্ঘদিন থেকে দখল ও খাল খনন না হওয়ায় এখন খালগুলো মৃতপ্রায়। যার কারণে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। এ ছাড়া অপরিকল্পিত বসতবাড়ি নির্মাণের ফলে পানি নিষ্কাশনব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এসব বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অশনিসংকেত দেখা দিতে পারে বলে তিনি দাবি করছেন।
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রাহাত উজ জামান বলেন, ‘অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে চরকাদিরা ইউনিয়নের কিছু এলাকার ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। বন্যার আশঙ্কায় আমরা আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করছি।’