ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ তিনজনকে ফের চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এদিকে, ফয়সালকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে গ্রেপ্তার নুরুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ, শনিবার, ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্দিক আজাদ এই আদেশ দেন। পুনরায় রিমান্ডে নেয়া তিনজন হলেন— ফয়সালের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু, এবং বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ এই তিনজনের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন, কিন্তু আদালত প্রত্যেককে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এই তিনজনকে ১৫ ডিসেম্বর পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল, এবং ১৪ ডিসেম্বর তারা নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হন।
গত ১২ ডিসেম্বর, রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় রিকশায় যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে, অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়। গত ১৯ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাদি মারা যান।
হাদির হত্যাচেষ্টায় ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের পল্টন থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে, ১৯ ডিসেম্বর মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে রূপান্তরিত হয় এবং ফয়সাল করিম মাসুদকে প্রধান আসামি করা হয়।
এই মামলায় ফয়সালের মা-বাবা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এবং বর্তমানে তারা কারাগারে আছেন। অপরদিকে, ফয়সালকে পালাতে সহায়তা করার অভিযোগে গ্রেপ্তার নুরুজ্জামানকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলাটির তদন্ত চলছে এবং এতে সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।