সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) শীতকালীন ছুটি পেছানোর সিদ্ধান্ত এবং ১০ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ১৭ ডিসেম্বর শাকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার দুপুরে তাঁরা মিছিল শেষে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সমাবেশ করেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ
সমাবেশে বক্তারা বলেন—
-
৯৯ শতাংশ শিক্ষার্থীর মতামত উপেক্ষা করে নির্বাচন পিছিয়ে ১৭ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
-
ঐ সময় ১২–১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ছুটি থাকায় ক্যাম্পাসে উপস্থিতি কম থাকবে, যা নির্বাচনের পরিবেশের জন্য অনুকূল নয়।
-
শীতকালীন ছুটি শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত পরিকল্পনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ছুটি পিছিয়ে দেওয়াকে তাঁরা অন্যায় সিদ্ধান্ত হিসেবে উল্লেখ করেন।
নির্বাচন কমিশন নিয়ে সন্দেহ
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন—
-
শাকসুর সংবিধানে ১৩ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের কথা থাকলেও সংবিধান সংশোধন করে ১৫ সদস্য করা হয়েছে, যা অনিয়মের শুরু।
-
চারজন কমিশনার পদত্যাগ করে আবার অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন—এতে নির্বাচন নিয়ে অবিশ্বাস ও ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ফয়সাল হোসাইনের বক্তব্য
শিক্ষার্থী ফয়সাল হোসাইন বলেন—
-
“কমিশন নকশা অনুযায়ী এমন দিন নির্বাচন করেছে যখন ক্যাম্পাসে কেউ থাকবে না। সেদিন তারা ভুতুড়ে নির্বাচন দিতে চায়।”
-
“আপনারা ক্ষমতাসীনদের খুশি করতে পদোন্নতির নকশা করছেন, শিক্ষার্থীদের নির্বাচন দিতে না।”
-
“নাটকের পর নাটক করে নির্বাচন বানচাল করা হচ্ছে; এজন্য জাতিও আপনাদের মনে রাখবে।”
অবস্থান স্পষ্ট—দাবি আদায় না হলে আন্দোলন চলবে
শিক্ষার্থীরা জানান, নির্বাচন ১০ ডিসেম্বরের মধ্যেই অনুষ্ঠিত না হলে তাঁরা আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন।
ঘোষিত তফসিল (২২৮ বছর পর ফিরে শাকসু নির্বাচন)
গতকাল রোববার শাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. আবুল মুকিত মোহাম্মদ মোকাদ্দেছ।
নির্বাচনী সময়সূচি:
-
২০ নভেম্বর: খসড়া ভোটার তালিকা
-
২২ নভেম্বর: আপত্তি গ্রহণের শেষ সময়
-
২৩ নভেম্বর: চূড়ান্ত ভোটার তালিকা
-
২৪–২৬ নভেম্বর: মনোনয়নপত্র বিতরণ ও জমাদান
-
২৮ নভেম্বর: প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা
-
৩০ নভেম্বর: মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার
-
১ ডিসেম্বর: আপিল নিষ্পত্তি
-
২ ডিসেম্বর: চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা
-
১৭ ডিসেম্বর: ভোট গ্রহণ (সকাল ৯টা–বিকেল ৪টা)