১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

শাহজাদপুরে মসজিদের সাধারণ সম্পাদকের কাছে ছাত্রলীগ নেতার চাঁদা দাবির অভিযোগ

admin
প্রকাশিত ০১ ফেব্রুয়ারি, শনিবার, ২০২৫ ১৫:৫৮:৫৪
শাহজাদপুরে মসজিদের সাধারণ সম্পাদকের কাছে ছাত্রলীগ নেতার চাঁদা দাবির অভিযোগ

Manual5 Ad Code

নিজস্ব প্রতিবেদক: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ছয়আনীপাড়া ভূমি অফিস জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদকের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে।

Manual1 Ad Code

 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আজ শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) জুমার নামাজ শেষে শাহজাদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নাহিন খান এবং তার সহযোগী বাধন খান মসজিদের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম কাউসারের কাছে চাঁদা দাবি করেন। তারা নামাজে আসা মুসল্লিদের দেওয়া অনুদান এবং ভূমি অফিসের রেজিস্ট্রিকৃত খাতা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিগত ৪০ বছর ধরে নাহিন খানের পিতা মো. ফারুক খান মসজিদের অঘোষিত হিসাবরক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

 

এই সময়ে মসজিদ উন্নয়নের নামে বিভিন্ন স্থান থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হলেও তার কোনো সুনির্দিষ্ট হিসাব মুসল্লিদের দেওয়া হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, দান বাক্সের টাকা ও অন্যান্য অনুদানের অর্থ ফারুক খান আত্মসাৎ করেছেন। বর্তমানে মসজিদটি ওয়াকফ স্টেট হিসেবে নিবন্ধিত হওয়ায় এর তত্ত্বাবধানে রয়েছে উপজেলা ভূমি অফিস। সহকারী কমিশনার (ভূমি) মসজিদ কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং ২৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি মসজিদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

 

Manual3 Ad Code

 

Manual8 Ad Code

এই কমিটির তত্ত্বাবধানে মসজিদের অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে মসজিদের ছাদ ঢালাই, এসি স্থাপন, টাইলসের কাজ, এবং আধুনিক সাউন্ড সিস্টেমের সংযোজন। অভিযোগ রয়েছে, মসজিদের এই উন্নয়ন কার্যক্রম দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে নাহিন খান ও তার সমর্থকরা। তারা মসজিদের দানকৃত অর্থ ও দায়িত্ব নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।

Manual1 Ad Code

 

এ বিষয়ে এলাকাবাসী প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এবং মসজিদের কার্যক্রমে কোনো ধরনের চাঁদাবাজি ও রাজনৈতিক প্রভাব যাতে না পড়ে, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। মুসল্লিরা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন, মসজিদের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোতে যেন কোনো ধরনের রাজনৈতিক প্রভাব না পড়ে এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পবিত্রতা বজায় রাখা হয়। এদিকে, এ ঘটনা স্থানীয়ভাবে তুমুল আলোচনা এবং বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে এলাকাবাসী আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।