
নিজস্ব প্রতিবেদক
শীতকাল এলেই জ্বর, সর্দি, কাশি ঘরে–ঘরে বাড়তে থাকে। এ ধরনের মৌসুমি সংক্রমণ থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করতে পারে রসুনের আচার—এমনটাই জানিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা। তাঁর মতে, রসুনের আচার শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পাশাপাশি এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ‘সি’ ও ‘ই’ শীতকালীন অসুস্থতা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রসুন রক্তে আয়রন শোষণের মাত্রা বৃদ্ধি করে। ফলে আয়রন ঘাটতি ও রক্তাল্পতা প্রতিরোধে রসুনের আচার নিয়মিত খাওয়া উপকারী। রসুনে থাকা ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, আঁশ, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম শরীরে বিপাক হার বাড়িয়ে মেদ ঝরাতেও সাহায্য করে।
এ ছাড়া রসুন প্রদাহ কমাতে সহায়ক হওয়ায় শীতকালে বাড়তি বাতের ব্যথা উপশমেও এটি উপকারি হতে পারে বলে জানান আফরোজা খানম মুক্তা।
শীতে রোগবালাই ঠেকাতে কীভাবে রসুনের আচার বানানো যায়—তার রেসিপিও শেয়ার করেছেন তিনি।
রসুন: ৫০০ গ্রাম
গাজর: ১টি
লেবুর রস: ৬ টেবিল চামচ
লেবু স্লাইস: ৮–১০টি
কাঁচা মরিচ: ৫–৬টি
লবণ: স্বাদমতো
হলুদ, মরিচ ও ধনে গুঁড়া: ২ চা-চামচ করে
পাঁচফোড়ন: ১ টেবিল চামচ
মৌরি গুঁড়া: ১ চা-চামচ
আস্ত মেথি: ১ চা-চামচ
সরিষার তেল: ২ কাপ
রসুনের কোয়া আস্ত অবস্থায় পানিতে এক ঘণ্টা ভিজিয়ে নরম করে নিন। এরপর খোসা ছাড়িয়ে গাজর, কাঁচা মরিচ ও লেবু স্লাইসসহ ভালোভাবে ধুয়ে চালুনিতে পানি ঝরিয়ে নিন। একটি বাটিতে রসুন প্রথমে হলুদ গুঁড়া দিয়ে মেখে নিন। পরে মরিচ ও ধনে গুঁড়া, লবণ, পাঁচফোড়ন, মেথি ও মৌরি গুঁড়া দিয়ে আবারও মেখে নিন।
এরপর মাখানো রসুন কাচের বোতলে ভরে লেবুর রস ঢেলে দিন। সবশেষে সরিষার তেল গরম করে বোতলে ঢালুন। ঢাকনা বন্ধ করে ৭ থেকে ১০ দিন রোদে রেখে দিন। নির্দিষ্ট সময় পরে পরিবেশন করা যাবে।