
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘১ হাজার ৪০০ মানুষ হত্যার দায়ে শেখ হাসিনার ১ হাজার ৪০০ বার মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত’
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১ এ পঞ্চম দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আগামী সোমবার দিন ধার্য করেছেন।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম যুক্তিতর্কে বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ১ হাজার ৪০০ জনকে হত্যা এবং ৩৫ হাজার মানুষকে আহত করা হয়েছিল। শেখ হাসিনা ছিলেন এই অপরাধগুলোর “নিউক্লিয়াস” ও “প্রাণভোমরা”। তিনি বলেন, “এই নিউক্লিয়াসকে ভেঙে ফেলতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এভাবে অপরাধের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে না পারে।”
তিনি আরও বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ছিলেন সকল অপরাধ বাস্তবায়নের পরিকল্পনাকারী। শেখ হাসিনার নির্দেশ আইজিপির মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়িত হতো। ১ হাজার ৪০০ মানুষ হত্যার দায়ে শেখ হাসিনার ১ হাজার ৪০০ বার মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত। যেহেতু সেটা সম্ভব নয়, তাই তাদের দুজনেরই চরম দণ্ড প্রার্থনা করছি।”
তাজুল ইসলাম আদালতের কাছে আরও আবেদন জানান, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের সম্পদ থেকে হতাহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার জন্য।
সাবেক আইজিপি ও মামলার রাজসাক্ষী চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল–মামুন সম্পর্কে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, “সাবেক আইজিপি সত্য প্রকাশ করেছেন। তিনি অ্যাপ্রুভার হিসেবে সত্য বলায় তাঁর বিষয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই। ট্রাইব্যুনাল এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।”