সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জনকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা ও বিচারপতি রেজাউল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
জামিন আদেশের ফলে তাঁর মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবী শেখ আলী আহমেদ খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী।
ঘটনার পটভূমি
গত ২৮ আগস্ট সকালে লতিফ সিদ্দিকী, অধ্যাপক হাফিজুর রহমানসহ কয়েকজন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের সংবিধান’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিতে যান। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘মঞ্চ ৭১’ নামের একটি সংগঠন। প্রধান অতিথি হিসেবে ড. কামাল হোসেনের নাম থাকলেও তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
আলোচনাটি সকাল ১০টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শুরু হয় বেলা ১১টায়। প্রথম বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন অধ্যাপক হাফিজুর রহমান। তাঁর বক্তব্য শেষ হতেই মিছিলসহ একদল ব্যক্তি মিলনায়তনে ঢুকে স্লোগান দিতে শুরু করেন—
‘জুলাইয়ের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’,
‘লীগ ধর, জেলে ভর’,
‘জুলাইয়ের যোদ্ধারা, এক হও লড়াই করো’।
তাঁরা গোলটেবিলের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন এবং আলোচনায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের প্রায় এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লতিফ সিদ্দিকী, হাফিজুর রহমান, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমসহ মোট ১৬ জনকে বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে হস্তগত করেন।
মামলা দায়ের
আটকের প্রায় ১২ ঘণ্টার বেশি সময় পর, ২৮ আগস্ট রাত পৌনে ১টার দিকে তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি করেন শাহবাগ থানার এসআই আমিরুল ইসলাম।